আরো ৩১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি

আগের সংবাদ

জলে ভাসা সিলেট এক বিচ্ছিন্ন জনপদ : ১২২ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা > আশ্রয়ের খোঁজে অসহায় মানুষ > বন্যার্তদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, যুক্ত হচ্ছে হেলিকপ্টার-ক্রুজ

পরের সংবাদ

গ্রেপ্তার ২ : রাজধানীতে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর ডেমরা থানার বাদশা মিয়া রোড এলাকায় রাকিবুর রহমান রকি (৩৫) নামে এক যুবককে চোর সন্দেহে মারধর ও মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শাহিন মিয়া ও নাজমুল নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে ডেমরার বাদশা মিয়া রোডের ৬ নম্বর গলিতে নির্মাণাধীন একটি ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে সংবাদ পেয়ে রাকিবের স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা ১১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
ভোর বেলায় রাকিব কেন ওখানে গিয়েছেন, সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি তার পরিবার। থানা পুলিশ বলছে, চোর সন্দেহে রাকিবকে হত্যা করা হয়েছে এটা সত্য। তবে তিনি চোর ছিলেন কিনা, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
নিহত রাকিবের ভাগিনা জুবায়ের আলি বলেন, ডেমরা বামৈল পাইটি এলাকায় রাকিবদের নিজেদের বাড়ি। রাকিব তেমন কোনো কাজকর্ম করতেন না। স্ত্রী মুন্নি আক্তার ও দুই সন্তান নিয়ে বাসায় থাকতেন। ভোর বেলায় জানতে পারি, বাদশা মিয়া রোড এলাকায় মাথায় ইট দিয়ে আঘাত ও মারধর করে মামাকে গুরুতর আহত করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে জানতে পারি, মামার সঙ্গে আরো একজন ছিলেন। তারা দুজন মিলে সেখানে নির্মাণাধীন ভবনে নাকি চুরি করতে গিয়েছেন। পরে সেখানে থাকা শ্রমিকরা তাকে ধরে চোর সন্দেহে মারধর করে। এ সময় মামার সঙ্গে থাকা আরেকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু আসল ঘটনা কী, তা জানা যায়নি। জুবায়ের জানান, রাতের বেলায় বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকতেন তার মামা। বাসায় ফিরতেন সকালে। বৃহস্পতিবার রাতেও বাসা থেকে বের হন তিনি। তার বিরুদ্ধে ডেমরা থানায় মাদক ও চুরির বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুর রহমান জানান, বাদশা মিয়া রোডে একটি ভবন হচ্ছে। নির্মাণাধীন ওই ভবনে থাকতেন ভবনের কাজ করা শ্রমিকরা।
শুক্রবার ভোরে সেখানে যান রাকিব। এ সময় শ্রমিকদের কাছে রাকিবের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয়। পরে তারা রাকিবকে ধরে মারধর করেন। তবে এ সময় রাকিবের সঙ্গে আর কেউ ছিলেন না। খবর পেয়ে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা দায়ের করেছেন। নাজমুল ও শাহিনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা দুজন রাকিবকে মারধর করেছে বলে প্রাথামিকভাবে স্বীকার করেছে। আরো ছয়জন ছিলেন, তারাও রাকিবকে মারধর করেছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে ওসি বলেন, রাকিব চোর ছিল কিনা, সেটি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়