আরো ৩১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি

আগের সংবাদ

জলে ভাসা সিলেট এক বিচ্ছিন্ন জনপদ : ১২২ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা > আশ্রয়ের খোঁজে অসহায় মানুষ > বন্যার্তদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, যুক্ত হচ্ছে হেলিকপ্টার-ক্রুজ

পরের সংবাদ

গাইবান্ধার বিভিন্ন স্থানে তীব্র নদী ভাঙন

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

গাইবান্ধা ও ফুলছড়ি প্রতিনিধি : উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে গাইবান্ধার নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী বেষ্টিত ১৬৫ চরের নি¤œাঞ্চল ডুবতে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় ছোট ছোট চরগুলোর মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এছাড়া ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদী বেষ্টিত বিভিন্ন চরে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ৫৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে, ঘাঘট নদীর পানি শহর পয়েন্টে ৩২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও তিস্তার পানি ২০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া করতোয়া নদীর পানি বিপদসীমার ১৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি বাড়ার কারণে উপজেলার বিভিন্ন চরের নি¤œাঞ্চল ডুবতে শুরু করেছে। এছাড়া উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর, উত্তর উড়িয়া ও জিগাবাড়ী, ফজলুপুর ইউনিয়নের পূর্ব খাটিয়ামারী, মধ্য খাটিয়ামারী, পশ্চিম খাটিয়ামারী, তালতলা, কাউয়াবাঁধা ও নিশ্চিন্তপুর, গজারিয়া ইউনিয়নের গলনারচর ও জিয়া ডাঙ্গা এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে প্রায় ১৫০ পরিবার নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের কাছে চাওয়া হয়েছে। শিগগিরই তাদের ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, কামারজানী ও মোল্লারচর ইউনিয়নের বেশ কিছু চরের নি¤œাঞ্চলের রাস্তাঘাট ডুবতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের গাইবান্ধা অংশের বাগুড়িয়া থেকে কামারজানি পর্যন্ত যেসব স্থান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা মেরামতে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এছাড়া কামারজানি ইউনিয়নের কুন্দেরপাড়া চরে নদীভাঙা মানুষগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ-আল-মারুফ বলেন, তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ছোট ছোট চরের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বেশ কিছু চরের মানুষ। তিনি বলেন, নদী ভাঙন বেশ কিছুদিন আগে ছিল। কিন্তু পানি বাড়ার কারণে নদী ভাঙন বন্ধ হয়েছে।
এদিকে সাঘাটা উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বেড়া, নলছিয়া, গোবিন্দপুর ও দক্ষিণ দিঘলকান্দি চরে ভাঙনের খবর পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু রায়হান বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। আপাতত ব্রহ্মপুত্রের পানি কমার সম্ভাবনা নেই। তিনি আরো বলেন, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাগুড়িয়া থেকে কামারজানি পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেশ কিছু জায়গা বৃষ্টির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওইসব জায়গা দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে।
এছাড়া জেলার অন্য বাঁধগুলোর অবস্থা ভালোই আছে। নদীর পানি বৃদ্ধি স্বাভাবিক থাকলে বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা নেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়