আরো ৩১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি

আগের সংবাদ

জলে ভাসা সিলেট এক বিচ্ছিন্ন জনপদ : ১২২ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা > আশ্রয়ের খোঁজে অসহায় মানুষ > বন্যার্তদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, যুক্ত হচ্ছে হেলিকপ্টার-ক্রুজ

পরের সংবাদ

কুড়িগ্রাম-চিলমারী রেলপথে ফের ট্রেন চলাচল বন্ধ

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের চিলমারী রেলপথে আবারো ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। চলতি বছরের ১ মার্চ চালু হওয়া চিলমারী কমিউটার ট্রেনটি সাড়ে ৩ মাসেই ফের বন্ধ করে দেয় লালমনিরহাট রেলওয়ে ডিভিশন।
লালমনিরহাট রেলওয়ের বিভাগীয় এরিয়া ম্যানেজার নুর মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কুড়িগ্রাম-রমনা (চিলমারী) রেলপথে কয়েক জায়গায় রেললাইনের মাটি নরম হয়ে গেছে। সংস্কার করার পর ট্রেন চললে লাইন আবারো দেবে যায়। এছাড়া টানা বৃষ্টির ফলে মাটিও ধুয়ে যাচ্ছে। এতে এ পথে ট্রেন চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় রেলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাময়িকভাবে চিলমারী কমিউটার ১/২ ট্রেনটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কুড়িগ্রাম পর্যন্ত চলবে ট্রেনটি। রমনা রেলপথ ট্রেন চলাচল উপযোগী হলে আবারো চালু করা হবে।
এদিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ করার ঘোষণায় রেলপথ যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ রেলওয়ে ডিভিশনের উদাসীনতায় এ পথে ফের ট্রেন বন্ধ করে দেয়া হলো। চিলমারীর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন অর রশিদ বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর এ পথে ট্রেন চালু হওয়া খুবই খুশির সংবাদ ছিল। কিন্তু ট্রেন চলাচলের সময়টি যাত্রীবান্ধব ছিল না। সকালে ট্রেনে যাত্রী ভরপুর থাকলেও মধ্যরাতে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি প্রতিদিনই ছিল যাত্রীশূন্য। তাই শুরু থেকেই এ পথে ট্রেন বন্ধের আশঙ্কা করছিল যাত্রী সাধারণ। এর আগে ২০২০ সালের ৮ মার্চ দুপুরে চিলমারীর রমনা থেকে পার্বতীপুরগামী লোকাল ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার পর আর ফিরে আসেনি। ড্রাইভার ও ইঞ্জিন স্বল্পতা এবং স্টেশন মাস্টার না থাকার অজুহাতে দীর্ঘদিন বন্ধ রাখার পর চলতি বছরের ১ মার্চ লোকাল ট্রেনটির পরিবর্তে চিলমারী কমিউটার ট্রেনটি চালু করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৬৪ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪২২ নম্বর লোকাল রমনা ট্রেনটি পার্বতীপুর-রমনা ও রমনা-তিস্তা রেলপথে নিয়মিত চলাচল শুরু করে। এই ট্রেনকে ঘিরে নদীভাঙন কবলিত উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজীবপুর উপজেলার মানুষজন তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাইরের জেলায় ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করত। এছাড়া স্থানীয় ফড়িয়া-পাইকাররা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নানা ধরনের পণ্য আমদানি করতেন। রমনা ট্রেনকে ঘিরে এ অঞ্চলের হাজারো মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহ হতো।

রেল-নৌ যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান বলেন, দারিদ্র্যপীড়িত উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের রমনা রেলপথে ট্রেন চালু করা নিয়ে বিমাতাসুলভ আচরণ করা হচ্ছে। আমরা ৪২২ নম্বর লোকাল রমনা ট্রেনটি নিয়মিত চলাচল শুরু করার দাবি জানিয়ে এলেও রেলওয়ে ডিভিশন আমাদের দাবি আমলে নেয়নি। লোকাল ট্রেনটি বন্ধ করে চিলমারী কমিউটার টেন চালু করার পর থেকে ফের এটি চলাচল বন্ধ করে দেয়ার আশঙ্কা করছিলাম আমরা। তাই হয়েছে। আমরা চাই আমাদের লোকাল ৪টি ট্রেনটিই আবার চালু করা হোক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়