আরো ৩১ ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি

আগের সংবাদ

জলে ভাসা সিলেট এক বিচ্ছিন্ন জনপদ : ১২২ বছরের ইতিহাসে ভয়াবহ বন্যা > আশ্রয়ের খোঁজে অসহায় মানুষ > বন্যার্তদের উদ্ধারে নৌবাহিনী, যুক্ত হচ্ছে হেলিকপ্টার-ক্রুজ

পরের সংবাদ

‘অসাধারণ অনুভূতি’

প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অমিতাভ রেজা চৌধুরীর দ্বিতীয় সিনেমা ‘রিকশাগার্ল’ ভিনদেশি দর্শকদের কাছে এনেছে মুগ্ধতা। ছড়িয়েছে আলোচনা। ইউরোপ, আমেরিকার পর এবার মুক্তি পেয়েছে বিশ্বের প্রথম শ্রেণির সিনেমা প্রতিষ্ঠান অস্ট্রেলিয়ার ‘হয়েটস’-এ। মূল চরিত্র নাইমার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী নভেরা রহমান। এ অভিজ্ঞতা নিয়ে তার সঙ্গে আলাপনে আহমেদ মেসবাহ
প্রথম বাংলাদেশি কোনো সিনেমা হিসেবে আপনার অভিনীত ‘রিকশাগার্ল’ হয়েটস-এর প্রদর্শনীতে যুক্ত হয়েছে। আপনার অনুভূতি কেমন?
আমার ক্যারিয়ার অনেক ছোট। তার মধ্যে আমার অভিনীত দ্বিতীয় সিনেমা ইউরোপ, আমেরিকার পর এবার অস্ট্রেলিয়ায় প্রিমিয়ার হচ্ছে, এটিই একটা অসাধারণ অনুভূতি। বিদেশের মাটিতে সবাই যে বাংলা সিনেমা উপভোগ করছে এটিই ভালো লাগার। আর কেবল তো শুরু, ভবিষ্যতে বাংলা সিনেমার আরো বড় প্রদর্শনী হবে এটিই আশা।

অমিতাভ রেজার দ্বিতীয় সিনেমায় মূল চরিত্রে কাজ করা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?
অনেক বেশি প্রেশার ছিল। অভিনয়ের ক্ষেত্রে আমি অমিতাভ ভাইকে হতাশ করতে পারিনি, কারণ তিনি এর আগে সেরাদের সঙ্গে কাজ করেছেন। এছাড়া আমি ইন্ডাস্ট্রি থেকেও অনেক চাপ অনুভব করেছি, যা আমাকে সামলাতে হয়েছে।

ঢাকায় বড় হওয়া, বিদেশে পড়াশোনা করা নভেরা কী করে ‘নাইমা’ চরিত্র রপ্ত করল?
আমি সব জায়গার মানুষ দেখে বড় হয়েছি। এটিই আমাকে নাইমা চরিত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে সহযোগিতা করেছে। রিকশা চালানোর জন্য আমাকে এক মাসের মধ্যে শক্তিসামর্থ্য অর্জন করে প্রশিক্ষণ নিতে হয়েছিল। পুরান ঢাকার একজন মহিলা রিকশাওয়ালার সঙ্গে দেখা করে তার জীবনধারণ পর্যবেক্ষণ করেছি। এছাড়া ছেলেদের পোশাক ও পরচুলা পরে তেজগাঁওয়ে ঘুরে বেড়াতাম চরিত্রে স্থির হওয়ার জন্য

প্রদর্শনীগুলোতে কাদের সাড়া বেশি পাচ্ছেন? প্রবাসী বাঙালিদের না বিদেশিদের?
বেশিরভাগ প্রবাসী বাংলাদেশি। এছাড়া চলচ্চিত্র উৎসবপ্রেমী বিদেশি দর্শকদের পেয়েছি যারা বিদেশি চলচ্চিত্র পছন্দ করে।

‘রিকশাগার্ল’ দেশে কবে মুক্তি পাবে বলে ধারণা করছেন?
আশা করি এ বছর। তবে কবে মুক্তি পাবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।

রিকশা পেইন্টিং কেমন লাগে?
শিল্প হিসেবে রিকশা পেইন্টিং অমূল্য। এটাতে ঢাকার ইতিহাস লেখা আছে এবং আমি খুবই ভাগ্যবান যে সারা বিশ্বের মানুষের কাছে তা দেখাতে পেরেছি। আমি আশা করি রিকশা পেইন্টিং ঢাকায় আরো জনপ্রিয় শিল্পশৈলীতে পরিণত হবে। এছাড়া রিকশা পেইন্টিংয়ে যে মজার বিষয়গুলো আছে তা অন্য শিল্পে পাইনি।

অভিনয়শিল্পী হয়ে উঠতে মা মোমেনা চৌধুরীর অনুপ্রেরণা কতখানি পেয়েছেন?
অভিনয়ের সবকিছু আমি মায়ের কাছ থেকেই শিখেছি। ছোটবেলা থেকেই তাকে একক অভিনয়ে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে দেখেছি। তার কারণেই আমি অভিনয়কে একাডেমিকভাবে অধ্যয়ন করার গুরুত্ব বুঝেছি।

আগামীতে কী কাজ করতে যাচ্ছেন?
সুন্দরচান নামে একটি শর্ট ফিল্ম করেছি, যেটি বঙ্গোর ইউটিউব চ্যানেলে আছে। আমি সাধারণত যে চরিত্রগুলো করি তার থেকে এটি খুব আলাদা তবে মানুষ সম্ভবত এটি উপভোগ করতে পারে বলে আমার ধারণা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়