নাটোরে বন্ধুকে খুন : ১৪ মামলার আসামি রাসেল ঢাকায় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

সাক্কুর পরাজয় পাঁচ কারণে

পরের সংবাদ

শ্রীপুরে গণপিটুনিতে যুবক নিহত

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

শ্রীপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি : শ্রীপুর উপজেলার ছোনগাছা গ্রামে গণপিটুনীতে একই উপজেলার বরিশাট গ্রামের আব্দুল জলিল শেখের পুত্র রাসেল শেখ (২৮) নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন একই গ্রামের আজ্জাত আলী জোয়াদ্দারের পুত্র মঞ্জুরুল জোয়াদ্দার (২৫) এবং রাজা মৃধার পুত্র রাজু মৃধা (২২)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরিশাট গ্রামের আজ্জাত আলীর ছেলে মঞ্জুরুল জোয়াদ্দারের নেতৃত্বে তিনটি মোটরসাইকেলে ছয় যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছোনগাছা গ্রামের দিদার মন্ডলের বাড়িতে প্রবেশ করে তার স্কুলপড়–য়া কন্যা লিমা খাতুনকে (১৪) পরিবারের লোকজনদের সামনে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ অবস্থায় মেয়েটিসহ পরিবারের লোকজন চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন ছুটে এসে তিনজনকে দুটি মোটরসাইকেলসহ আটক করে। এরপর বিক্ষুব্ধ লোকজন রাসেল, মঞ্জুরুল ও রাজুকে গণধোলাই দিয়ে গুরুতর আহত করে। বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাট গ্রামের সমাজসেবক কাজী তারিকুল ইসলাম জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তির পর রাসেলের অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।
সেখানে গতকাল বুধবার সকালে রাসেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ বিষয়ে নিহতের পিতা আব্দুল জলিল শেখ বলেন, আমার ছেলে রাসেল ইজিবাইক চালায়। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মঞ্জুরুল আমার ছেলেকে কিছু না বলে ছোনগাছা গ্রামে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর ওই গ্রামের লোকজন আমার ছেলেকে মারধর করে মারাত্মক আহত করে।
আহত অবস্থায় রাসেল ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। যারা আমার ছেলেকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে, তাদের আমি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করি।
ছোনগাছা গ্রামের স্কুলছাত্রী লিমা খাতুনের মা আয়েশা খাতুন বলেন, আমার মেয়ে খামারপাড়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে মঞ্জুরুলসহ কয়েকজন বখাটে যুবক প্রায়ই তাকে বিরক্ত করত। বিষয়টি জানতে পেরে প্রায় পাঁচ মাস তার স্কুলে যাওয়া বন্ধ রাখি এবং দ্রুত বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি। গতকাল বুধবার মেয়েটির বিয়ের দিন ঠিক করা হয়। মঞ্জুরুলসহ তার বন্ধুরা বিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে আমার কন্যাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীসহ গ্রামবাসী ছুটে এসে বখাটেদের হাত থেকে আমার মেয়েকে রক্ষা করে। এরপর অন্ধকার রাতে কী ঘটনা ঘটেছে আমরা কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ওসি প্রিটন সরকার বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়