নাটোরে বন্ধুকে খুন : ১৪ মামলার আসামি রাসেল ঢাকায় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

সাক্কুর পরাজয় পাঁচ কারণে

পরের সংবাদ

লামা বিএডিসি : নিলাম ছাড়াই ১৬ গাছ কর্তন

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জামাল উদ্দীন, লামা (বান্দরবান) থেকে : লামায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) অন্তত পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের ১৬টি গাছ নিয়মবহির্ভূতভাবে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির উপপরিচালকের বিরুদ্ধে। বিক্রি করা গাছগুলো এরই মধ্যে কেটেও ফেলা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি মাদার ট্রি। তবে এসব বিক্রি ও কাটার জন্য নিয়ম অনুযায়ী কোনো নিলাম আহ্বান করা হয়নি। মতামত (অনুমতি) নেয়া হয়নি বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থার।
লামা বিভাগীয় কর্মকর্তার কার্যালয়ের মাত্র ১০০ গজ দূরত্বে বিএডিসি কার্যালয় থেকে এভাবে গাছ টাকা হলেও এ বিষয়ে আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বন বিভাগ।
বিএডিসির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লামা মধুঝিরি এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) উপপরিচালক কার্যালয়ে পেছন থেকে এসব গাছ বিক্রি করা হয়েছে। আর এসব গাছ লোক দিয়ে কেটে নিয়ে গেছেন লামা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. কামাল উদ্দিন।
গাছ কাটার বিষয় স্বীকার করে কামাল উদ্দিন বলেন, লামা বিএডিসির উপপরিচালক মাহফুজুর রহমানের কাছ থেকে গাছগুলো ৩৫ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন।
লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আরিফুল হক বলেন, বন বিভাগ গাছ যাচাই করে মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার পরই নিলামের বিক্রি করার সুযোগ আছে। তবে লামা বিএডিসি থেকে অনুমতির জন্য লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো আবেদন পাননি বলেও ডিএফও জানান।
তবে এভাবে গাছ কাটার বিষয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লামা-আলীকদম পরিবেশ রক্ষা পরিষদের সভাপতি এম রুহুল আমিন। তিনি বলেন, সরকারের এই সংস্থাটি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যেভাবে অর্ধশত বছর পুরনো গাছগুলো কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করেছে, এর ক্ষতি আগামী ২০ বছরেও পূরণ করা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, প্রায় পাঁচ লাখ টাকার গাছ মাত্র ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করায় সরকার বিশাল পরিমাণ রাজস্ব থেকেও বঞ্চিত হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে লামা বিএডিসির উপপরিচালক মাহফুজুর রহমান বলেন, বেশি বয়সি কিছু গাছ রোগাক্রান্ত হয়ে পড়েছে। তাছাড়া এসব গাছের ছায়ায় অন্য সব গাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তাই কিছু গাছ বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, বিষয়টি আমি এখন আপনার কাছ থেকে জানলাম। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়