নাটোরে বন্ধুকে খুন : ১৪ মামলার আসামি রাসেল ঢাকায় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

সাক্কুর পরাজয় পাঁচ কারণে

পরের সংবাদ

মির্জা ফখরুল ইসলাম : দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে সরকার

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২২ , ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা পাচার করা টাকাকে বৈধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এগুলো তো তারা করছেনই। নিজেরাই বিদেশে টাকা পাচার করছেন। সেই টাকা বৈধ করার জন্য আইন করছেন। এই দেশ তো এখন আর কোনো সভ্য, গণতান্ত্রিক দেশ নেই। এটা একটা বর্বর, অসভ্য ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। তিনি গতকাল বুধবার পৌর শহরের কালীবাড়ির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তথ্যমন্ত্রীর কথা তো আর আইন না। আইনে স্পস্টভাবে বলা আছে, নির্বাচনের দিনে ওই এলাকায় কোনো সংসদ সদস্য থাকতে পারবেন না। এখানে মন্ত্রী কী করেছেন সেগুলোর সঙ্গে আইন, সংবিধান, নীতিনৈতিকতার কোনো সংযোগ নাই। তারা সব নির্বাচনে বরাবরই প্রভাব বিস্তার ও নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার কাজ করছেন। সরকারের কারণেই আজকে সরকারি দলের এমপি কুমিল্লায় অবস্থান করছেন। নির্বাচন কমিশন চিঠি দেয়ার পরও তিনি সেখান থেকে বের হননি। গোটা ইলেকশনে কমিশন তাদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে। সুতরাং এ ঘটনা থেকে প্রমাণিত হয়ে গেছে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন শুধু নয়, সারা বাংলাদেশের যে নির্বাচন ব্যবস্থা সেটাকে তারা সম্পূর্ণভাবে এই সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনকে তারা ধ্বংস করে ফেলেছে।
আমাদের দাবি, যে কথাটা আমরা বারবার বলছি, আমরা শুধু না সব বিরোধীদলই বলছে, নির্বাচনকালে যদি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে তাহলে নির্বাচন কমিশনার যেই থাকুক তাকে দিয়ে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সুতরাং এখানে নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার খুব বেশি প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে তারা এমন জায়গায় নিয়ে গেছে এখানে তো মানুষ ভোটই দিতে পারে না। ভোটকেন্দ্রে যেতেও পারে না। ভোটকেন্দ্রে যদি যেতে না পারে তাহলে আর কী করবে। ভোট দিতে পারলেও তা তাদের পক্ষে নিয়ে যায়।আমরা আন্দোলন করছি। আমরা যখন সময় আসবে আরো বড় আন্দোলনে যাব। আমরা সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করছি। সবাই আমাদের সঙ্গে একমত, এই সরকারের অধীনে কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাফরুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক মামুন অর রশিদ, জেলা যুবদলের সভাপতি চৌধুরী মাহেবুল্লাহ আবু নুর, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়