নাটোরে বন্ধুকে খুন : ১৪ মামলার আসামি রাসেল ঢাকায় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

সাক্কুর পরাজয় পাঁচ কারণে

পরের সংবাদ

বাড়ানো সম্মানীতেও সন্তুষ্ট নন রেফারিরা

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ঘরোয়া ফুটবলে রেফারিং সংকট কাটছেই না। ম্যাচ পরিচালনার সম্মানীসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির দাবিতে বিদ্রোহ করেছিলেন ফুটবল রেফারিরা। একপর্যায়ে তারা ম্যাচ পরিচালনা থেকেও বিরত ছিলেন। রেফারিদের দাবি-দাওয়া মেটানোর জন্য বাফুফে সময় নিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত মঙ্গলবার বাফুফে রেফারিদের সম্মানীসহ অন্যান্য সুবিধা বৃদ্ধি করে। বাড়ানো সম্মানীতেও সন্তুষ্ট নন রেফারিরা। বাফুফের রেফারিজ কমিটির চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর সভাপতিত্বে গত মঙ্গলবার রেফারিদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি বিষয়ে সভা হয়েছে।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপি, বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ, রেফারিজ কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান হাজী ইব্রাহিম নেসার, বাংলাদেশ ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি ও বাফুফে হেড অব রেফারি আজাদ রহমান।
বিদ্যমান পারিশ্রমিকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে একজন রেফারি ম্যাচপ্রতি পেতেন ২ হাজার ৪০০ টাকা। এই পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে সভায়। সহকারী রেফারিরা পান ২ হাজার ২০০ টাকা। তা বাড়িয়ে ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে। চতুর্থ রেফারিরা পেতেন ১ হাজার ৮০০ টাকা, তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ টাকা।
বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে রেফারিদের ম্যাচপ্রতি পারিশ্রমিক ১ হাজার ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা, সহকারী রেফারির পারিশ্রমিক ১ হাজার ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার টাকা এবং চতুর্থ রেফারির পারিশ্রমিক ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৫০০ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিপিএলে ম্যাচপ্রতি রেফারিদের পারিশ্রমিক ২ হাজার ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। যদিও তাদের দাবি ছিল ৫ হাজার টাকা। তারা ন্যূনতম ৪ হাজার ৫০০ টাকা চেয়েছিলেন। তবে তা করা হয়নি। ফলে দাবি না মানায় খেলা পরিচালনা না করার সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছেন রেফারিরা।
ম্যাচপ্রতি পারিশ্রমিক বৃদ্ধি ও বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৪ জুন পেশাদার ফুটবল লিগে রেফারিং করতে অস্বীকৃতি জানায় রেফারিদের একটি পক্ষ। পরদিন বিসিএলে ম্যাচ পরিচালনা করেন অন্য রেফারিরা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করার কথা জানিয়ে বিবৃতি দেয় বাফুফে।
বাফুফের প্রস্তাবিত সেই সম্মানী ফি ও ভাতার অঙ্কে রেফারিরা সন্তুষ্ট নন। আর সে কারণে তারা খেলা পরিচালনা না করার সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছেন।

এদিকে মঙ্গলবার যে বৈঠক হয়েছে, রেফারিদের দাবি সে বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। দাবিকৃত অর্থের পুরোটা না পাওয়ায় ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন তারা। আগামী ২০ জুন শুরু হবে প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের বাকি অংশের খেলা। এর মধ্যে বিরোধ না মিটলে আবারও অনিশ্চয়তার মুখে পড়বে লিগ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়