নাটোরে বন্ধুকে খুন : ১৪ মামলার আসামি রাসেল ঢাকায় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

সাক্কুর পরাজয় পাঁচ কারণে

পরের সংবাদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী : সাংবাদিকদের জন্য নতুন কোনো আইন হচ্ছে না

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাংবাদিকদের জন্য নতুন কোনো আইন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন না করলে পত্রিকার নিউজপ্রিন্ট কোটা, পরিচয়পত্র, বিজ্ঞাপন, ক্রোড়পত্র বিষয়ে সরকারি সুবিধা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে।
গতকাল বুধবার বিকালে সচিবালয়ে বিএফইউজে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যানের সাম্প্র্রতিক বক্তব্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রেস কাউন্সিলের বেশির ভাগ সদস্যই সাংবাদিক ও সম্পাদক। তারাই প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করতে ১৯৭৪ সালের আইন সংশোধনের জন্য ৫ বছর আগে একটা প্রস্তাব করেছিলেন। সেটি এখনো প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য দেশে কোনো নতুন আইন হচ্ছে না।
গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অনেক অনিবন্ধিত অনলাইন, আইপি টিভি এমন কি ইউটিউব চ্যানেলে কর্মরতারাও সবাই সাংবাদিক পরিচয় দেন। তাদের কেউ কেউ আবার জেলা প্রতিনিধি নিয়োগ করেন। সেজন্য আবার বেতন না দিয়ে উলটো তাদের কাছ থেকে টাকা নেন। কেউ কেউ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেন। বাস্তবতা হলো, এদের কারণে প্রকৃত সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। সে জন্য আমরা প্রেস কাউন্সিল ও প্রেস ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আলাপ করেছি নিবন্ধিত গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের জন্য।
এর আগে বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব দীপ আজাদ, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল ও নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে ড. উৎপল কুমার সরকার, নূরে জান্নাত আখতার সীমা, উম্মুল ওয়ালা সুইটি ও আঙ্গুর নাহার মন্টি মন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন। এসময় বিএফইউজের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে পাঁচ দফা দাবিসংবলিত একটি পত্র হস্তান্তর করেন সভাপতি ওমর ফারুক।
নবম ওয়েজবোর্ড সংশোধন করে সংবাদপত্রের পাশাপাশি টিভি ও অনলাইন গণমাধ্যমে তা দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বাস্তবায়ন না করলে পত্রিকার নিউজপ্রিন্ট, এক্রেডিটেশন কার্ড, বিজ্ঞাপন, ক্রোড়পত্র বিষয়ে সরকারি সুবিধা প্রত্যাহার, পত্রিকার ঠিক প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ, ডিক্লারেশনের ক্ষমতা ডিসি অফিস থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা ও গণমাধ্যম নিয়ে আইন প্রণয়নে বিএফইউজের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করার দাবিসহ পত্রটি উপস্থাপন করেন বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়