নাটোরে বন্ধুকে খুন : ১৪ মামলার আসামি রাসেল ঢাকায় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

সাক্কুর পরাজয় পাঁচ কারণে

পরের সংবাদ

জেআরসি এখন নয়, জেসিসিতে উঠছে জ¦ালানি নিরাপত্তার বিষয়টি : ১৯ জুন বাংলাদেশ-ভারত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এ মুহূর্তে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকের জন্য ভারত প্রস্তুত নয়। তবে কয়েক দফা পিছিয়ে আগামী ১৯ জুন দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক হচ্ছে। জেসিসি বৈঠকে জ্বালানি নিরাপত্তার পাশাপাশি আরো কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ এসোসিয়েশন আয়োজিত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত স্মরণ সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নতুন ইস্যু হচ্ছে জ্বালানি নিরাপত্তা। এটি কীভাবে নিশ্চিত করা যায় তা নিয়ে বৈঠকে কথা হবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ জুন নয়াদিল্লিতে জেসিসি বৈঠকে যোগ দিতে ১৮ জুন রাতে ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর। সপ্তম জেসিসি বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও ভারতের পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর নেতৃত্ব দেবেন। এতে দুদেশের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগে ২০১২ সালে নয়াদিল্লিতে প্রথম জেসিসি বৈঠকে বসে বাংলাদেশ ও ভারত। গত ১০ বছরে মোট ছয়বার জেসিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে জেসিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়ালি।
বৈঠকের বিষয়ে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমাদের যেসব অমীমাংসিত ইস্যু আছে, সেগুলো নিয়ে আলাপ হবে। বাংলাদেশের নদী, সীমান্তসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ হবে। এর মধ্যে নতুন একটি বিষয় এসেছে, সেটি হচ্ছে- আমাদের জ্বালানি নিরাপত্তা। এটি নিয়ে আলাপ করব। সেই সঙ্গে আগের বিষয়গুলোও থাকবে। আলাপের পরিধি অনেক বড় বলেও জানান তিনি। এছাড়া অনেক অমীমাংসিত বিষয় নিয়েও আলাপ হবে বলে জানান তিনি। যার মধ্যে রয়েছে পাটের ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্ক, নদী ও সীমান্ত ইস্যু। তিনি বলেন, ভালো বিষয় হচ্ছে ভারত প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে। যাতে করে কোনো অস্থিতিশীল উত্তেজনা না হয়।
এ মুহূর্তে যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকের জন্য ভারত প্রস্তুত নয় জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দুদেশ পাশাপাশি থাকলে সমস্যা থাকে এবং তার সমাধানও থাকে। তবে সুখের বিষয় হচ্ছে- ভারত সঠিক পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা বা উত্তেজনা না হয়। ভারত থেকে গম আমদানি প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে গম রপ্তানিতে ভারত রাজি হয়েছে এবং অনুমোদন দিয়েছে। জেআরসি প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আসামে হয়ে যাওয়া নদী সম্মেলনে জেআরসি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছিলাম। কিন্তু জেআরসির বৈঠকের জন্য ভারত প্রস্তুত না। জেসিসি বৈঠকের আগে জেআরসির বৈঠক না হলেও পানিবণ্টন ইস্যুতে আলোচনা হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের অনেকগুলো নদী নিয়ে আলাপ আছে। ফেনী আছে, কুশিয়ারা আছে, সেগুলো নিয়ে আলাপ করব। জেআরসি না হলেও আগেও আলাপ করেছি, এবারো আলাপ করব। মিয়ানমারের সঙ্গে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বৈঠকের বিষয়ে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, তিন বছর পরে আমাদের বৈঠক হয়েছে। ২০১৭ সালে সিদ্ধান্ত হয়েছিল রোহিঙ্গাদের একটি দলের প্রত্যাবাসনের, সেটি হয়নি। পরবর্তী সময়ে ২০১৮ ও ২০১৯-এ প্রত্যাবাসনের কথা ছিল কিন্তু যায়নি। এবার আমরা একটি মডেল আকারে পদক্ষেপ নিতে চাই। তবে প্রত্যাবাসনের দিন-তারিখ কিছুই ঠিক হয়নি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরো বলেন, আরেকটি বড় ইস্যু বৈঠকের আলোচনায় ছিল যে বাংলাদেশ প্রায় ৮ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারকে দিয়েছে যাচাই-বাছাই করার জন্য। এর মধ্যে মাত্র ৫৮ হাজার যাচাই-বাছাই করেছে মিয়ানমার। বৈঠকে বাংলাদেশ দাবি জানিয়েছে যাচাই-বাছাই তাড়াতাড়ি করার জন্য। প্রত্যাবাসন কি এ বছর শুরু হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আশাবাদী। কখন হবে, তার দিন-তারিখ এখনো ঠিক হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়