নাটোরে বন্ধুকে খুন : ১৪ মামলার আসামি রাসেল ঢাকায় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

সাক্কুর পরাজয় পাঁচ কারণে

পরের সংবাদ

ই-গেটে এনালগ ভিসা চেকিংয়ে মিলছে না পূর্ণাঙ্গ সুবিধা : ই-ভিসা চালু না হওয়াই প্রধান অন্তরায় > ১৮ সেকেন্ডে ইমিগ্রেশন পার

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : স্বয়ংক্রিয়ভাবে ও দ্রুত ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করতে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইলেকট্রনিক গেট (ই-গেট) চালু হলেও মিলছে না পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা। যাত্রীরা ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে ই-গেট পার হতে পারলেও ভিসা চেকিং ও বোর্ডিং পাস নিতে সময় লাগছে আগের মতোই। ফলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে ই-গেট চালু করা হলো সেটিই মিলছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে এখনো ই-ভিসা কার্যক্রম চালু হয়নি। ফলে ই-গেটের সার্ভারে ভিসার কোনো তথ্য সংযুক্ত করা যায়নি। এর কারণেই যাত্রীকে নির্গমনের জন্য আলাদাভাবে পুরনো নিয়মে ভিসা চেকিংয়ের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এছাড়া বোর্ডিং পাসের জন্য লাগছে আলাদা সময়। তবুও পাসপোর্ট চেকিংয়ের সময় বেঁচে যাওয়ায় খুশি যাত্রীরা।
নাম প্রকাশ না করা বেশ কয়েকজন যাত্রী ভোরের কাগজকে বলেন, ই-গেট দিয়ে ১৮ সেকেন্ডে পার হওয়া গেলেও অন্যান্য জটিলতায় প্রায় আগের মতোই সময় লাগছে। বিশেষ করে ভিসা চেকিং এখনো এনালগ সিস্টেমে হওয়ায় ই-গেটের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা মিলছে না। দেশে ই-ভিসা চালু হলে এই সমস্যা আর থাকবে না। তবে ভিসা চেকিংয়ে জটিলতা কমে যাওয়ায় উচ্ছ¡াস প্রকাশ করেছেন তারা।
ই-গেটের পূর্ণাঙ্গ সুবিধা না পাওয়ার কারণ সম্পর্কে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা ভোরের কাগজকে বলেন, দেশে এখনো ই-ভিসা চালু না হওয়ায় ই-গেটের সঙ্গে সার্ভার ইন্ট্রিগেশন

হয়নি। তবে যখন আমাদের ই-ভিসা চালু হবে তখন সার্ভার ইন্ট্রিগ্রেশন হয়ে যাবে। এজন্য আপাতত একটু বেশি সময় লাগছে। ভবিষ্যতে ই-ভিসা চালু হলে এই সমস্যাগুলো আর থাকবে না।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা সেবা বিভাগের সচিব মোকাব্বির হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, স্বয়ংক্রিয় এই গেট চালু হওয়ায় নির্গমন ও আগমন যাত্রীদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়ায় খুব কম সময় লাগছে। আপাতত ই-পাসপোর্টধারীরাই ই-গেট দিয়ে প্রবেশ করতে পারছেন। ই-গেট চালুর ফলে ই-পাসপোর্টধারীদের এখন আর লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। কারণ তাদের জন্য ই-গেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাচ্ছে।
ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগ (ডিআইপি) সূত্র জানিয়েছে, ই-পাসপোর্ট ও অটোমেটেড বর্ডার কন্ট্রোল (এবিসি) ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় অন্যান্য বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরে মোট ৫০টি ই-গেট স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
উল্লেখ্য, উদ্বোধনের ১১ মাস ৮ দিন পর গত ৬ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পরীক্ষামূলকভাবে ই-গেট ব্যবহার শুরু হয়। তবে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনের জন্য আগামী ৭ জুলাই থেকে চালু হবে ২৭টি ই-গেট। ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরো দ্রুত সময়ে শেষ হবে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া।
প্রসঙ্গত, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া আধুনিকীকরণ করতে ও বাংলাদেশি পাসপোর্টের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে সরকার ই-পাসপোর্ট প্রোগ্রাম ও অটোমেটেড বর্ডার কন্ট্রোল (এবিসি) ব্যবস্থাপনা চালু করে। ডিআইপির তথ্য অনুযায়ী, গতানুগতিক পাসপোর্টে একটি আলাদা সিকিউরিটি লেয়ার যুক্ত করে ই-পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ইলেকট্রনিক চিপ অ্যাম্বেড করা হয়েছে, যেখানে পাসপোর্টের দ্বিতীয় পেজে থাকা তথ্য ও ডিজিটাল নিরাপত্তা ফিচারগুলো সংরক্ষিত থাকবে।
সেখানে আরো থাকছে ই-পাসপোর্টধারীর ছবি, আঙুলের ছাপ ও আইআরআইএস তথ্য। ২০১৯ সালে ই-গেট স্থাপনের পর বিমানবন্দর কর্মকর্তারা এটি পরিচালনার প্রশিক্ষণ পান। ই-গেটগুলো বিমানবন্দরে স্থাপনের কাজটি করেছে জার্মান সংস্থা ভেরিডোস জিএমবিএইচ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়