নাটোরে বন্ধুকে খুন : ১৪ মামলার আসামি রাসেল ঢাকায় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

সাক্কুর পরাজয় পাঁচ কারণে

পরের সংবাদ

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা : স্বাস্থ্য খাতে বাজেটের আকার আরো বাড়ানো উচিত

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে স্বাস্থ্য বাজেটের আকার বাড়ানো প্রয়োজন বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে স্বাস্থ্য খাতে যে বাজেট দেয়া হচ্ছে তার যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, যে বাজেট বরাদ্দ হয়েছে সেটিও যদি আমরা সুষ্ঠুভাবে ব্যয় করতে পারি, সময়মতো পরিকল্পনা এবং সময়মতো অর্থ ছাড়ের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায় তাহলে অনেক সমস্যা দূর হবে।
অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের চেয়ে বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেশ পিছিয়ে- এমন কথা স্বীকার করে নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সক্ষমতা আছে কিন্তু আমরা আসলে পারিপার্শ্বিকতার শিকার। বরাবরই আমাদের বলা হয়ে থাকে বাজেট বাস্তবায়নে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বেশ ধীরগতিতে চলে। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের কিছু করার থাকে না। অনেক সময় অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজের সমন্বয় করায় সময় বেশি লাগে। এর ফলে বাজেটের কিছু অংশ অব্যবহৃত থেকে যায়। প্রতিটি ক্রয় কার্যক্রমে আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ ছাড় নিতে হয়। এতে সময় লাগে।
আমাদের প্রক্রিয়াগুলো লম্বা, ঠিকাদার নিয়োগসহ নানা কারণে সময় বেশি লাগে। অনেক সময় কাঁচামালের দাম বাড়া ও কমার সঙ্গে কাজের সময় নির্ভর করে। তাই চাইলেই যথাসময়ে বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে পারা যায় না।
গতকাল বুধবার ‘কেমন হলো স্বাস্থ্য বাজেট ২০২২-২৩’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তারা এসব বক্তব্য দেন। সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএইচআরএফ) এই আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. শামিউল ইসলাম, পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম, টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ, মেরী স্টোপসের লিড এডভোকেসি মঞ্জুন নাহার, বিএইচআরএফের সাবেক সভাপতি তৌফিক মারুফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিএইচআরএফের সভাপতি রাশেদ রাব্বির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সংগঠনের সহসভাপতি সেবিকা দেবনাথ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় এ খাতে থোক বরাদ্দ এবার কমেছে। করোনা প্রতিরোধে হেলথের ব্লক ফান্ড গত বছর ১০ হাজার কোটি টাকা ছিল- যা এই অর্থবছরের বাজেটে ৫ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। মোট স্বাস্থ্য বাজেটের আকার ৪০ হাজার কোটি টাকা হবে। কারণ অন্যান্য মন্ত্রণালয়ও আমার এই খাতের কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবদুল হামিদ বলেন, কিছু প্রকল্প স¤প্রসারণ ছাড়া প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য বাজেটে নতুনত্ব নেই। বরাদ্দের বৃদ্ধি মূলত ক্রমবর্ধমান ব্যয় এবং মুদ্রাস্ফীতির ব্যবস্থা মেটাবে। করোনার মতো মহামারি মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও সক্ষমতা বাড়াতে বাজেটে বরাদ্দ নেই। আগের বছরের বাজেটের চেয়ে ৫ থেকে ১০ শতাংশ বাড়িয়ে পরের বছরের বাজেট তৈরি করেন। অনেক খাতে বরাদ্দ বাড়লেও ব্যয়ের সক্ষমতা ও দক্ষতা নেই। এ কারণে বাজেট অব্যবহৃত থেকে যায়। এসব বিষয় সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে।
জনস্বাস্থ্যবিদরা মনে করেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। দেশে মোট স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৮ শতাংশই আসছে জনসাধারণের পকেট থেকে। এই ব্যয় ৫০ শতাংশে আনতে হলে জাতীয় বাজেট ৭ থেকে ৮ শতাংশ বরাদ্দ প্রয়োজন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়