নাটোরে বন্ধুকে খুন : ১৪ মামলার আসামি রাসেল ঢাকায় গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ

সাক্কুর পরাজয় পাঁচ কারণে

পরের সংবাদ

আইপিলের লড়াই চলবে আড়াই মাস

প্রকাশিত: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৬, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আইপিএলের গত আসরে দলের সংখ্যা বাড়ায় ম্যাচ সংখ্যাও বেড়েছে। ফলে টুর্নামেন্টের জন্য উইন্ডোতে বাড়তি সময় বরাদ্দ চেয়েছিল বিসিসিআই। এবার সেটাই বাস্তবায়ন হতে চলেছে। বিসিসিআই-এর সচিব জয় শাহ এমনটাই জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, পরের বছর আইপিএলের জন্য আড়াই মাসের উইন্ডো বরাদ্দ দেবে আইসিসি। আমেরিকান ফুটবলের আসর ন্যাশনাল ফুটবল লিগের (এনএফএল) প্রতি ম্যাচের মূল্য ৩ কোটি ৫৭ লাখ মার্কিন ডলার। এরপরই এখন আইপিএলের অবস্থান, প্রতি ম্যাচের মূল্য এখানে হতে যাচ্ছে ১ কোটি ৫১ লাখ মার্কিন ডলারের একটু বেশি। আইপিএলের পেছনে পড়ে গেছে এমনকি ফুটবল বিশ্বজুড়ে তুমুল জনপ্রিয় ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগও (প্রতি ম্যাচের মূল্য ১ কোটি ১৩ লাখ মার্কিন ডলারের একটু বেশি)।
এমন আকাশছোঁয়া মূল্যে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি হওয়ার পর আইপিএলের আকার বাড়তে পারে। এই বছর থেকেই আইপিএলে দল ২টি বাড়ানো হয়েছে। এবার নতুন ধরনের সূচিতে খেলা হলেও সামনে টুর্নামেন্টে ম্যাচের সংখ্যা বাড়তে পারে। বাড়তে পারে পরিধিও। ম্যাচ সংখ্যা এখনকার ৭৪ থেকে বেড়ে ৮৪, এমনকি ৯৪টিও হতে পারে।
বিসিসিআই সচিব জয় শাহ বলেন, আমি নিশ্চিতভাবে জানাতে পারি, পরের বছর থেকে আইপিএলের জন্য আইসিসির পক্ষ থেকে আড়াই মাসের উইন্ডো বরাদ্দ থাকবে। কারণ আমরা চাই আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সেরা ক্রিকেটাররা সবাই আইপিএলে খেলুক। আমরা আইসিসির পাশাপাশি বিভিন্ন বোর্ডের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বলেছি।
জয় শাহ জানিয়েছেন, আইপিএলের পরের সাইকেলে মোট ৪১০টি ম্যাচ হবে। পরের দুই মৌসুমে খেলা হবে ৭৪টি করে ম্যাচ। তৃতীয় আসরে ৮৪টি এবং ২০২৭ সালে ৯৪টি ম্যাচ আয়োজিত হবে। তিনি আরো জানিয়েছেন, এত বড় টুর্নামেন্ট একসঙ্গে আয়োজন কঠিন হতে পারে, তাই দুই পর্বে আইপিএল আয়োজনের ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। এমনকি আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বিদেশে প্রীতিম্যাচ খেলার প্রস্তাবও নাকি এসেছে। অবিশ্বাস্য ও চোখধাঁধানো মূল্যে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি হওয়ার পর আইপিএলে নতুন কী কী মাত্রা যোগ হয়, সেটি দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি অবশ্য এখনই নিশ্চিত করে দিয়েছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। ভারতীয় বোর্ডের এই বড় কর্তা জানিয়েছেন, আইসিসি ভবিষ্যৎ সফর সূচির (এফটিপি) আগামী চক্র থেকেই আড়াই মাসের আলাদা সময় ধরা থাকবে আইপিএলের জন্য।
২০২৩-২০২৭ সাল পর্যন্ত ৫ বছরের জন্য আইপিএলে সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি হয়েছে ৪৮ হাজার ৩৯০.৫ কোটি রুপিতে। সম্প্রচার স্বত্বের দিক থেকে ভারতের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এখন সব খেলা মিলিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় সবচেয়ে দামি টুর্নামেন্ট।
আইসিসির বর্তমান এফটিপি শেষ হচ্ছে আগামী বছর। ২০২৪-২০২৭ সাল পর্যন্ত এফটিপি এখন চূড়ান্ত হওয়ার পথে। সেখানেই আইপিএলের জন্য থাকবে প্রতি বছর আড়াই মাস করে সময়, যখন কোথাও কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হবে না।
আইপিএলের দলগুলোর ব্যস্ততা শুধু ওই আড়াই মাস বা ভারতের মধ্যে নয়, আরো ছড়িয়ে দেয়ার ভাবনাও আছে বলে জানিয়েছেন জয় শাহ।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করছি আমরা। আইপিএল দলগুলোর বিদেশে গিয়ে প্রীতিম্যাচ খেলার অনেক প্রস্তাব আমাদের কাছে আছে। আইপিএলে এত জোর দেয়া হলেও ভারতের আন্তর্জাতিক সূচি বা অন্য দেশগুলোর আন্তর্জাতিক সূচিকে যথাযথ সম্মান জানানো হবে বলেও দাবি বিসিসিআই সচিবের।
‘বিশ্ব ক্রিকেট যতদিন শক্তিশালী থাকবে, ততদিন ভারতীয় ক্রিকেটও শক্তিশালী থাকবে, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রতি বিসিসিআই দায়বদ্ধ এবং সেটা শুধু ভারত-অস্ট্রেলিয়া বা ভারত-ইংল্যান্ডের মতো আকর্ষণীয় সিরিজ নয়, ছোট দেশগুলোর সঙ্গে খেলতেও আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সব সংস্করণের সব দ্বিপক্ষীয় সিরিজকে সম্মান করা হবে। এ মাসেই তো আমরা আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ২টি টি-টোয়েন্টি খেলতে যাচ্ছি। আমরা শক্তিশালী ও তেজি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আঙিনা চাই ও ছোট দেশগুলোকে সহায়তা করতে চাই তাদের সঙ্গে খেলে।
২০২৩-২০২৭ সাল পর্যন্ত এই পাঁচ বছরের জন্য আইপিএলের টেনিভিশন স্বত্ব বিক্রি হয়েছে। একই সঙ্গে বিক্রি হয়েছে ডিজিটাল স্বত্বও। অর্থাৎ আগামী পাঁচ বছর টেলিভিশন, মোবাইল ও অনলাইনে কীভাবে খেলা দেখা যাবে, তা নির্ধারণ হয়ে গেছে। মোট ২৩ হাজার ৫৭৫ কোটি রুপিতে টেলিভিশন স্বত্ব কিনে নিয়েছে একটি চ্যানেল। সেই সঙ্গে ২০ হাজার ৫০০ কোটি রুপিতে বিক্রি হয়েছে আইপিএলের ডিজিটাল স্বত্ব। সব মিলিয়ে আইপিএলের মোট সম্প্রচারস্বত্ব বিক্রি হয়েছে ৪৪ হাজার ৭৫ কোটি রুপিতে।
সম্প্রচারস্বত্ব বিক্রির ঠিক একদিন পরই সুখবর পেলেন দেশটির প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা- বেতন বাড়ছে তাদের। সুখবরটা শুধু বর্তমান আর ভবিষ্যৎ ক্রিকেটারদের ভেতরেই সীমাবদ্ধ রাখেনি বিসিসিআই। তাদের সাবেক ক্রিকেটার ও আম্পায়ারদের পেনশনও করে দেয়া হয়েছে দ্বিগুণ। ভারতে প্রথম শ্রেণির খেলোয়াড়রা আগে যেখানে পেতেন ১৫ হাজার রুপি, তারা পাবেন ৩০ হাজার রুপি করে।
সাবেক টেস্ট খেলোয়াড়রা নতুন স্কিম অনুযায়ী পাবেন ৬০ হাজার রুপি করে। আগে তারা পেতেন ৩৭ হাজার ৫০০ রুপি। ৫০ হাজার রুপি পেনশনভোগীরা পাবেন ৭০ হাজার রুপি। নারী আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়রা এখন থেকে পেনশন পাবেন ৫২ হাজার ৫০০ রুপি করে। আগে তাদের পেনশন ছিল ৩০ হাজার রুপি। ২০০৩ সালের আগে অবসর নেয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের পেনশন ২২ হাজার ৫০০ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৫ হাজার রুপি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়