মির্জা ফখরুল : খালেদার কিছু হলে দায় নিতে হবে সরকারকেই

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ইসির ‘এসিড টেস্ট’

পরের সংবাদ

হোসেনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাত দিন ধরে পানি নেই : চিকিৎসা না নিয়েই চলে যাচ্ছে ভর্তি রোগীরা

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. জাকির হোসেন, হোসেনপুর (কিশোরগঞ্জ) থেকে : হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পানির পাম্প জ্বলে যাওয়ায় সাত দিন ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ভর্তি রোগী, আবাসিক চিকিৎসক, নার্স, স্টাফ ও রোগীর সঙ্গে আসা স্বজনদের মাঝে পানির জন্য হাহাকার চলছে। পানির অভাবে টয়লেটের অসহনীয় দুর্গন্ধে হাসপাতালের পরিবেশ নষ্ট হয়ে পড়েছে। অনেক রোগী ভর্তি হয়েও নিরুপায় হয়ে চিকিৎসা না নিয়ে বাড়ি ফেরত গেলেও রবিবার ১৭ জন নতুন রোগী ভর্তিসহ ৩২ জন রোগী চিকিৎসা নিতে রয়ে গেছেন। যার মধ্যে ডায়রিয়ার রোগী রয়েছে পাঁচজন। এহেন পরিস্থিতির জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী মনে করছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
সরজমিনে জানা যায়, গত মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একমাত্র পানির পাম্পটি বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগে পুড়ে যায়। এক সপ্তাহ পার হলেও গতকাল সোমবার পর্যন্ত তা মেরামত না হওয়ায় পুরো হাসপাতালটিতে পানির জন্য হাহাকার চলছে। ৫০ শয্যার এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আবাসিক চিকিৎসক ও পরিবারের জন্য বাইরে থেকে কলসিতে করে পানি নিতে দেখা যায়। ভর্তি রোগীদের মসজিদের স্লাপাই থেকে বোতলে করে পানি নিয়ে টয়লেটের কাজ সারতে হচ্ছে। এ সময় কথা হয় রাতে ডিউটি করতে আসা সিনিয়র স্টাফ নার্স সাহানারা ইয়াসমিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, এর আগেও একাধিকবার এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও নতুন ভবনের ৩য় তলায় ১৮টি বেড রয়েছে, যেখানে প্রায় ২ মাস ধরে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় সেখানকার ভর্তি রোগী টয়লেট করতে পুরাতন ভবনের ২য় তলায় ছুটে আসতে হয়।
শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি ৬ মাসের শিশু রায়হানের মা রাবেয়া আক্তার ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তিনি ৬ দিন ধরে এখানে এসে চরম কষ্টে আছেন। এ সময় তিনিসহ ভর্তি রোগী শিখা আক্তার, রহিমা, রাশিদা, জোৎসনা, সুফিয়া, অশীতিপর আলাল উদ্দিনসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে মানুষ আসে রোগ সারাতে, আর এখানে আসলে আরো রোগ বাড়ে।
হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) ডা. আবদুল্ল্যাহ আল শামীম বলেন, পাম্পটি মেরামতের কাজ চলছে। আশা করা যায় দুয়েকদিনের মধ্যে মেরামতের কাজ শেষ হয়ে গেলে পানির সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
তিনি একটি মাত্র পানির পাম্পের ওপর নির্ভর না করে একাধিক বিকল্প সাবমার্সেবলের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করবেন বলে জানান।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তানভীর হাসান জিকু পবিত্র হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে চলে যাওয়ায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাবেয়া পারভেজ বলেন, আমরা উপজেলার ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেক সাবমার্সেবল দিয়েছি, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি পৌর এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় সেখানে বরাদ্দ দেয়ার সুযোগ নেই। তবু আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এর একটি স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করে দেব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়