মির্জা ফখরুল : খালেদার কিছু হলে দায় নিতে হবে সরকারকেই

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ইসির ‘এসিড টেস্ট’

পরের সংবাদ

সুরমার পানি বিপদসীমার উপর সুনামগঞ্জে ফের বন্যার আশঙ্কা : তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. সাজ্জাদ হোসেন শাহ্, তাহিরপুর ও শংকর দত্ত, ছাতক (সুনামগঞ্জ) থেকে : গত বন্যার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই হাওরবেষ্টিত ভাটির জনপদ হিসেবে খ্যাত সুনামগঞ্জে ফের বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে আবারো সুনামগঞ্জের সুরমাসহ জেলার ছোট-বড় সবকটি নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলার প্রধান নদী সুরমার পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল বলে জানিয়েছে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের আনোয়ারপুর, শক্তিয়ারখলা একশো মিটার ব্রিজ ও মোকামপাড়া এলাকার সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টা ধরে বন্ধ রয়েছে জেলার কয়েকটি উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহ। এদিকে উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে সুনামগঞ্জের বৃহৎ বালুমহাল তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটা বালুমহালে। এ কারণে গত তিন দিন ধরে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে যাদুকাটা বালুমহালে। এর ফলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন মহাল সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ প্রায় ১০ হাজার খেটে খাওয়া মানুষ।
ইতোমধ্যে জেলার ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, ধরমপাশা, জামালগঞ্জ, মধ্যনগরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঢলের পানি প্রবেশ করায় কিছু কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গেছে জেলা শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে। এভাবে বৃষ্টিপাত ও পানি বাড়তে থাকলে আবারো সুনামগঞ্জে বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে পানিতে সড়ক প্লাবিত হওয়ায় সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর, বিশ্বম্ভরপুর, ধরমপাশা, মধ্যনগর উপজেলাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের তিনটি স্থান ঢলের পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলা সদরের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন পর্যটকসহ স্থানীয় লোকজন। এদিকে গত বন্যায় জেলার উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্লাবিত হয়ে ভেঙে যাওয়ায় গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
এছাড়া হাওর ও নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষের বসতঘরে পানি প্রবেশ করছে। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন হাওরবাসী।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামছুদ্দোহা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সুনামগঞ্জে ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি আরো জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মেঘালয়ে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মেঘালয়ে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়