মির্জা ফখরুল : খালেদার কিছু হলে দায় নিতে হবে সরকারকেই

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ইসির ‘এসিড টেস্ট’

পরের সংবাদ

সুইডিশ থিংক ট্যাংক : ¯œায়ুযুদ্ধের পর এই প্রথম পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : স্নায়ু যুদ্ধের পর থেকে এই প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর এ ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকিও কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এ কথা বলেছে সংঘাত ও অস্ত্র বিষয়ক শীর্ষস্থানীয় একটি থিংক-ট্যাংক। গতকাল সোমবার বেশ কয়েকটি নতুন গবেষণা ফলাফলে এ ধারণা প্রকাশ করেছে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট। সংস্থাটি জানায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ এবং কিয়েভের প্রতি পশ্চিমা সমর্থন বিশ্বের নয়টি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। জানুয়ারি ২০২১ থেকে জানুয়ারি-২০২২ পর্যন্ত পারমাণবিক অস্ত্রের সংখ্যা কিছুটা কমলেও পারমাণবিক শক্তিগুলো আশু পদক্ষেপ না নিলে শিগগিরই কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিশ্বে এ ধরনের যুদ্ধাস্ত্রের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হতে পারে।
থিঙ্ক-ট্যাঙ্কটির ২০২২ ইয়ারবুকে এসআইপিআরআইয়ের ‘উয়েপন্স অব মাস ডিস্ট্রাকশন প্রোগ্রাম’-এর পরিচালক উইলফ্রেড ওয়ান বলেন, সবগুলো পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ তাদের অস্ত্র বাড়াচ্ছে অথবা উন্নয়ন ঘটাচ্ছে এবং অধিকাংশই পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করছে এবং তাদের সামরিক কৌশলগুলোতে পারমাণবিক অস্ত্র ভূমিকা রাখছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক প্রবণতা। মস্কো ইউক্রেনে কথিত ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করার তিন দিন পর প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিরোধককে উচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখার নির্দেশ দেন। রাশিয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানো দেশগুলোকে এর পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে তিনি বলেন, তা এমন হতে পারে- যা তোমাদের পুরো ইতিহাসে তোমরা কখনো দেখনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি মোট ৫,৯৭৭টি পারমাণবিক অস্ত্র আছে রাশিয়ার, যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে প্রায় ৫৫০টি বেশি। বিশ্বের মোট পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রের ৯০ শতাংশেরও বেশি এই দুদেশের কাছে আছে। তবে এসআইপিআরআই বলছে, অনুমানিক তিন শতাধিক নতুন ক্ষেপণাস্ত্র গুদামসহ চীন অস্ত্র বৃদ্ধির মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে। এসআইপিআরআই জানায়, জানুয়ারি ২০২১ এ বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রের সংখ্যা ১৩,০৮০টি থেকে কমে জানুয়ারি ২০২২ এ ১২,৭০৫টিতে দাঁড়ায়। এর মধ্যে আনুমানিক ৩,৭৩২টি যুদ্ধাস্ত্র ক্ষেপণাস্ত্র ও

এয়ারক্রাফটগুলোতে মোতায়েন করে রাখা হয়েছে এবং প্রায় ২,০০০ এর মতো পুরোপুরি প্রস্তুত অবস্থায় রাখা আছে- যার প্রায় সবগুলোই রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের। এসআইপিআরআইয়ের বোর্ড চেয়ারম্যান এবং সুইডেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্তিফান লুভেন বলেছেন, এমন একসময় বিশ্বের মহাশক্তিগুলোর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে, যখন মানবতা এবং এই বিশ্ব একটি গভীর চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, যার সমাধান শুধু সম্ভব আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমেই।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়