মির্জা ফখরুল : খালেদার কিছু হলে দায় নিতে হবে সরকারকেই

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ইসির ‘এসিড টেস্ট’

পরের সংবাদ

সংসদে পাস : সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকার সম্পূরক বাজেট

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বিরোধী দল ও স্বতন্ত্র সদস্যদের তুমুল বিরোধিতার মুখে গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল’ পাস হয়েছে। এই বিল পাসের মধ্য দিয়ে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে অতিরিক্ত ১৭ হাজার ৫২৪ কোটি ৬৪ লাখ ৫ হাজার টাকা ব্যয়ের অনুমতি দিল সংসদ।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে সম্পূরক বাজেটের অর্থ অনুমোদনের জন্য ২৬টি মঞ্জুরি দাবির ওপর ২৩৮টি ছাঁটাই প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এসব দাবির মধ্যে চারটি দাবির ওপর আনীত ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনা হয়। এগুলো হচ্ছে জননিরাপত্তা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। বাকি মঞ্জুরি দাবিগুলো সরাসরি ভোটে প্রদান করা হয়। অবশ্য সব ছাঁটাই প্রস্তাবই কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। এরপর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘নির্দিষ্টকরণ (সম্পূরক) বিল-২০২২’ উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
সম্পূরক বিলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থ বিভাগকে সর্বাধিক ৫ হাজার ৩০৭ কোটি ৫৬ লাখ ৬১ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এরপরই রয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়ের ২ হাজার ৭৪২ কোটি ৩৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্দ অনুমোদন করা হয়। তৃতীয় সর্বোচ্চ খাদ্য মন্ত্রণালয়কে ২ হাজার ৩৩৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮৮ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ দেয়া হয়। সবচেয়ে কম ১ কোটি ১৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
সাংবিধানিক নিয়ম অনুসারে, যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ বাজেটের বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করতে পারেনি, তাদের হ্রাসকৃত বরাদ্দের জন্য সংসদের অনুমতির কোনো প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যেসব মন্ত্রণালয় বা বিভাগ অতিরিক্ত ব্যয় করেছে, শুধু তাদের বরাদ্দই সংসদের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতেই সংসদে সম্পূরক বাজেট পাস হয়।
ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির মো. মুজিবুল হক, কাজী ফিরোজ রশীদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, রওশন আরা মান্নান ও পীর ফজলুর রহমান, বিএনপির মো. হারুনুর রশীদ, মো. মোশাররফ হোসেন ও রুমিন ফারহানা, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু। তারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমালোচনার পাশাপাশি সম্পূরক বাজেট বরাদ্দ না দেয়ার দাবি জানান।
সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি বাজেটেই সরকারের উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের লক্ষ্যে সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকসহ সরকারের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রাক্কলন করা হয়ে থাকে। পরে বাজেট বাস্তবায়নকালে যৌক্তিক কারণে কখনো কখনো কিছুটা সংশোধন করার প্রয়োজন হয়। এ বছরের প্রেক্ষাপট আমাদের সবার জানা। কোভিড-১৯ ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পুরো বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি। যার কমবেশি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আঘাত হেনেছে। সেটা বিবেচনায় নিয়ে সম্পূরক বাজেটে যৌক্তিক কারণে ব্যয় ও ঘাটতি কিছুটা সমন্বয় করেছি। তবে আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ অপরিবর্তিত রয়েছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস- চূড়ান্ত হিসাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়