কাগজ প্রতিবেদক : লঙ্কান ব্যাটার অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউসকে মে মাসের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)। মাসসেরা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম এবং শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউস ও আসিথা ফার্নান্দো। তবে স্বদেশী আসিথা ফার্নান্দো ও মুশফিকুর রহিমকে পেছনে ফেলে মাসসেরা নির্বাচিত হয়েছেন লঙ্কান ব্যাটার অ্যাঞ্জেলা ম্যাথিউস। মাসসেরার সম্মাননা পেয়ে দুই প্রতিদ্ব›দ্বীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেছেন, আইসিসির মাসসেরা খেলোয়াড় হয়ে আমি আসলেই সম্মানিত বোধ করছি। আমি আসিথা ফার্নান্দো ও মুশফিকুর রহিমকেও অভিনন্দন জানাতে চাই, যারা দুর্দান্ত পারফর্ম করে এই পুরস্কারের দৌড়ে সামনের দিকে ছিলেন। এই পুরস্কার চরম অর্থনৈতিক সংকটে থাকা লঙ্কান জনগণকে উৎসর্গ করে তিনি আরো বলেছেন, আমি এই সুযোগ পাওয়ার জন্য আনন্দিত। সৃষ্টিকর্তা, সতীর্থ, সাপোর্ট স্টাফ এবং ভক্তদের ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার ওপর বিশ্বাস ও সমর্থন দেয়ার জন্য। আমি এটা শ্রীলঙ্কার জনগণকে উৎসর্গ করছি। কখনো বিশ্বাস হারাবেন না। আইসিসির ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেট সমর্থকদের যৌথ ভোটে নির্বাচন করা হয় প্রতি মাসের সেরা ক্রিকেটার।
গত মে মাসে বাংলাদেশ সফরে এসে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলেছে শ্রীলঙ্কা। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচ ড্র করলেও মিরপুরে সিরিজের শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১০ উইকেটের জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। এই সুবাদের ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে লঙ্কানরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দুই টেস্টেই অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছেন ম্যাথিউস। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে এক রানের আক্ষেপ নিয়ে সাকিব আল হাসানের বলে সাজঘরে ফিরেছিলেন তিনি। ১৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৯৭ বলে খেলেছিলেন ১৯৯ রানের ইনিংস। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে রানের খাতা খোলার আগেই তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে সাজঘরে ফিরেছেন ম্যাথিউস। এরপর ঢাকা টেস্টে আপনরূপে ফিরেছেন তিনি। প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৪৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। মূলত এই দুই ম্যাচের অনবদ্য দুই ইনিংসের সুবাদেই আইসিসির মাচসেরা নির্বাচিত হয়েছেন এই লঙ্কান ব্যাটার। এই সিরিজেই টাইাগরদের হয়ে অনবদ্য ভূমিকা রাখার সুবাদে মাসসেরা হওয়ার লড়াইয়ে এগিয়ে ছিল মুশফিকুর রহিম। চট্টগ্রামে ১০৫ রানের ইনিংসের সুবাদের প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে সাদা পোশাকে পা রেখেছেন ৫ হাজার রানের মাইলফলকে। এরপর ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ১৭৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেছেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ২৩ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরেছেন তিনি।
একই সিরিজে ম্যাথিউসের সতীর্থ পরিবর্তিত খেলোয়াড় হিসেবে নেমে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন আসিথা ফার্নান্দো। চট্টগ্রামে প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট। এরপর ঢাকা টেস্টে সরাসরি একাদশে সুযোগ পেয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে নিয়েছেন ১০ উইকেট।