মির্জা ফখরুল : খালেদার কিছু হলে দায় নিতে হবে সরকারকেই

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ইসির ‘এসিড টেস্ট’

পরের সংবাদ

বজ্রযোগিনীতে সেতু নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মোহাম্মদ সেলিম, মুন্সীগঞ্জ থেকে : মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের মামাসার এলাকায় সেতু নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে। এই এলাকায় বর্তমানে এলজিইডির অধীনে ২টি সেতু নির্মাণের কাজ চলমান রয়েেেছ। নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে বলে গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে। এলজিইডি কর্তৃপক্ষ হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়া কয়েকটি অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। সেসব কাজ এখন ঠিকাদারকে নতুন করে করতে হচ্ছে বলে জানা গেছে এলজিইডি সূত্র থেকে।
বজ্রযোগিনী ইউনিয়নের চুড়াইন এলাকার পশ্চিমের গ্রাম হচ্ছে মামাসার গ্রাম। মামাসার উপজেলার শেষ সীমান্তের একটি গ্রাম। এর পরপরই শুরু টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সীমানা। মামাসার বাজারের পরেই রাস্তার ডানপাশের খালের পশ্চিমে ও পূর্বে নির্মিত হচ্ছে ২টি সেতু। এর মধ্যে এলজিইডি প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত একজন প্রকৌশলীর বাড়িতে যাওয়ার রাস্তাটিতে একটি সেতু নির্মাণ কাজ চলছে। এটি হচ্ছে পূর্ব এলাকার সেতু। এই সেতুতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ সেতু নির্মাণে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ গ্রাম থেকে উঠলেও প্রভাবশালী ঠিকাদার ইতোমধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করে এনেছেন বলে জানা গেছে। গ্রামবাসীরা নানা রকম অভিযোগ করলেও সেতু নির্মাণে ঠিকাদার কোনোভাবেই অভিযোগের বিষয়গুলো পাত্তা দেয়নি বলে জানা গেছে। রোজার ঈদের বড় বন্ধের মধ্যে এ সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। পরে এ ঘটনাটি এখানে এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার চোখে ধরা পড়ে। তখন তারা এ সেতুর সঙ্গে জড়িত কিছু অংশের কাজ বন্ধ করে দেন। সেই কাজে বেশির ভাগ অংশে দুর্নীতি ও অনিয়ম করা হয় বলে জানা গেছে। দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রমাণ হওয়া সেই কাজের অংশের মালামাল সেতু এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। সেই কাজে বেশিরভাগ অংশেই সিমেন্টের পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপরেও এখানকার ঠিকাদার দুর্নীতি ও অনিয়ম থেকে কোনোভাবেই ফিরে আসেননি বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে এই সেতুর কাজের সঙ্গে জড়িত অংশের ব্লক নির্মাণে দুর্নীতি ও অনিয়ম করেন। তখন মিডিয়ার উপস্থিতিতে প্রায় ৭৫টি ব্লক বাতিল করেন এলজিইডির দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন। এ সময় এখানে উপস্থিত ছিলেন আরেকজন সহকারী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম। বাতিল ব্লকগুলোতে ক্রস চিহ্ন দেন তারা।
সহকারী প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন বলেন, এ সেতুর নিচের অংশেও ঠিকাদার দুর্নীতি ও অনিয়ম করেছেন। সেটিতেও আমরা আপত্তি জানিয়েছি। কিন্তু এখানে নানা রকমের ঘটনা ঘটলেও ঠিকাদার এখন বেপরোয়া হয়ে কাজ করছেন।
এই সেতু নির্মাণের ঠিকাদার মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, এখানে কোনো ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতির ঘটনা ঘটেনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়