মির্জা ফখরুল : খালেদার কিছু হলে দায় নিতে হবে সরকারকেই

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ইসির ‘এসিড টেস্ট’

পরের সংবাদ

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর আশাবাদ : তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে শিগগিরই আসবে সুখবর

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা চুক্তির বিষয়ে নিজের উদ্বেগের কথা জানিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, এটা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কাজ করছে এখন। শিগগিরই একটা সুখবর দেয়া যাবে। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি। গতকাল সোমবার সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের নদী ভাঙন পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব নয়। এটাকে সহনীয় পর্যায়ে আনতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়।
তিস্তা চুক্তির অগ্রগতি নিয়ে জাহিদ ফারুক বলেন, তিস্তা চুক্তি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ আমরা আগে চেষ্টা করেছিলাম। এটার স্টাডি হয়েছে। এখন আমরা এগিয়ে গিয়েছি। ২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বিরোধিতায় আটকে যায় এই চুক্তি। ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরেও এই চুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়। সে সময় মোদি তার সরকারের ওই আমলে চুক্তি করার বিষয়ে আশ্বাস দেন। তবে সে কথা ফলেনি। জাহিদ ফারুক বলেন, দুবছর আগে আমি যখন হাঙ্গেরি গিয়েছিলাম তখন ভারতের জলশক্তিমন্ত্রীর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল। আসার পর আমি তাকে কয়েকবার পত্র দিয়েছি। আমি তাকে বাংলাদেশে আসার জন্য দাওয়াত দিয়েছি। আমি বলেছি, আসেন আমরা আলোচনা করি। উনি হয়তো একটা সময় দেখে আসবেন। তিনি বলেন, আমি আপনাদের এভাবে বলতে চাই, তিস্তাটা নিয়ে আমরা নিজেরাই উদ্বিগ্ন। এই চুক্তিটি আমরা করতে চাই। ধীরগতিতে হলেও কাজ এগুচ্ছে। আপনারা জানেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কারণে কাজটি স্লো হয়ে গেছে। আমরা হয়তো অচিরেই তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের ব্যাপারটি সমাধান করতে পারব।
নদীভাঙন সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীর তীর থেকে বালু উত্তোলন সঠিকভাবে হলে নদীভাঙন অনেকটা কমে যাবে। তাই এখন থেকে রাতে নদীর তীরের বালু উত্তোলন বন্ধ থাকবে, শুধু দিনেরবেলা বালু উত্তোলন হবে। এর ফলে অসাধুভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ হবে। ব্যয়বহুল হওয়ায় নদীতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণও সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, তাই প্রতি বছর বাঁধ ভেঙে যায় আবার নতুন করে বাঁধ নির্মাণ করতে হয়, এটা সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্নীতির কারণে নয়, নদীর গতিপ্রকৃতি পরিবর্তনের কারণে বর্ষা আসলেই বাঁধ ভেঙে যায় বলেও দাবি করেন তিনি। আগামী বর্ষার আগে সুনামগঞ্জ এলাকার ১৪টি নদী খননের একটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। তিনি বলেন, প্রথম থেকেই সুনামগঞ্জের বিষয়ে আমার নজর রয়েছে। সেখানে আমরা ১ হাজার ৫৪৭ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছি। সেখানে আমরা ১৪টা নদী খনন করব। সমীক্ষা সেপ্টেম্বর মাসে চলে আসবে, অক্টোবরের মধ্যে চেষ্টা করব, একনেক থেকে সেটা পাস করিয়ে নেব।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদারিতে ক্ষমতাসীনদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, প্রথমে ১১ জন ঠিকাদার ছিল। অনেক বড় বড় ঠিকাদার ছিল। এক-একজন ডিপিএমে (সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি) ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকার কাজ পেত। আমরা বলেছি এই ১১ জন ঠিকাদার কাজ শেষ না করা পর্যন্ত নতুন করে কোনো কাজ পাবে না। কাজগুলো শেষ করার পর সেই পুরোনো ১১ জনকে এখন আমরা কাজ দিচ্ছি। এখন নির্দেশনা হচ্ছে একজন ঠিকাদার তিনটির বেশি কাজ করতে পারবে না। আমরা স্ট্রিক্ট ও সতর্ক আছি যে, একজন ঠিকাদারকে বেশি কাজ দেব না। বেশি কাজ দিলে দেরি হয়ে যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়