মির্জা ফখরুল : খালেদার কিছু হলে দায় নিতে হবে সরকারকেই

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ইসির ‘এসিড টেস্ট’

পরের সংবাদ

দুর্ভোগের ২২ বছর : নাগেশ্বরীর ফুলকুমরে নির্মিত হয়নি স্থায়ী ব্রিজ

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পাভেল জামান, নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) থেকে : একটি ব্রিজের অভাবে দুর্ভোগের ২২ বছর পার করছেন নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের ফুলকুমর নদ তীরবর্তী রাঙ্গালীবস আবাসনসহ আশপাশের আরো ৫ গ্রামের মানুষ। নদ পারাপারে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকোই তাদের ভরসা।
জানা যায়, রায়গঞ্জ বাজার থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে এই ইউনিয়নের একটি জনঘনবসতিপূর্ণ গ্রাম রাঙ্গালীবস। এর পাশে ফুলকুমর নদের তীরে অবস্থিত আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রায় ৩০০ অসহায় শ্রমজীবী মানুষের বসবাস। নদ পাড়ি দিয়ে তাদের বেশির ভাগই কাজ করতে যান পার্শ্ববর্তী ভূরুঙ্গামারী উপজেলার আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের বিভিন্ন মিল-চতালে। রাঙ্গালীবস গ্রাম ও আবাসনের শিশুরা পড়ালেখা করে আন্ধারীঝাড় প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায়। আগে বর্ষায় নদ পানিপূর্ণ হলে বন্ধ হয়ে যেত কর্মজীবীদের কাজ ও শিশুদের পড়ালেখা। তাই ২২ বছর আগে গ্রামবাসী ও আবাসনের বাসিন্দারা মিলে সেখানে নির্মাণ করেন একটি বাঁশের সাঁকো। পরে এর কারণে চরধাউরারকুটি-রাঙ্গালীবস পথ বিকল্প ও শর্টকার্ট রাস্তা হিসেবে পরিচিতি পায় রাঙ্গালীবস, আবাসনসহ পার্শ্ববর্তী রতনপুর, বোর্ডের বাজার, সাপখাওয়া, গাডিরখামার, সোনাইরখামার গ্রামের মানুষের কাছে। স্থানীয় আলতাফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম, নূর মোহাম্মদ, আ. রশিদ, আব্বাস আলীসহ অনেকেই জানান, বিভিন্ন প্রয়োজনে এ সাঁকো পাড়ি দেন দৈনিক প্রায় ২ সহস্রাধিক মানুষ। প্রতি বছর অধিকসংখ্যক মানুষের চলাচলে নড়বড়ে হয়ে গেছে সাঁকো। ভেঙে গেছে চাটাই, সাঁকোর খুঁটিও দেবে গেছে। তারপরও অব্যাহত থাকে মানুষের চলাচল। তাই প্রত্যেক বছর বর্ষার শুরুতে আগের সাঁকো ভেঙে একই জায়গায় নতুন করে সাঁকো দিতে হয়। ফের তা নড়বড়ে হয়ে যায়। এর থেকে পরিত্রাণে সেখানে একটি স্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
রায়গঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য উমা চরণ জানান, বাঁশের সাঁকোটির অবস্থা নাজুক। সরে গেছে সংযোগস্থলের মাটি, কয়েকটি জায়গায় খুঁটি দেবে গিয়ে উঁচু-নিচু হয়ে গেছে সাঁকো। বিছানো চাটাই ভেঙে গেছে অনেক জায়গায়। সেখানে পথচারীদের পা ঢুকে রক্তাক্ত জখম হয়। একটু অসাবধানতায় অনেকে পড়ে যান পানিতে। রায়গঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুজ্জামান মণ্ডল দ্বীপ বলেন, এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ জরুরি। আমি উপজেলা প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী ওয়াসিম আতাহার বলেন, আমি চেষ্টা করছি যাতে দ্রুত সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা যায়। এজন্য সম্ভাব্যতা যাচাই করে একটি প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়