মির্জা ফখরুল : খালেদার কিছু হলে দায় নিতে হবে সরকারকেই

আগের সংবাদ

কুমিল্লায় ইসির ‘এসিড টেস্ট’

পরের সংবাদ

খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক আমদানি : ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে ব্যয়

প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : একদিকে ঊর্ধ্বমুখী দামের চাপ, অন্যদিকে বাড়তি পরিবহন ব্যয় এ দুইয়ের প্রভাবে লম্বা সময় ধরেই অস্থিতিশীল খাদ্যপণ্যের বাজার। আমদানিকারক দেশগুলো এসব কারণে স্থানীয় চাহিদা মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে। চলতি বছর খাদ্যপণ্য আমদানি ব্যয় ৫ হাজার ১০০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) কর্তৃক প্রকাশিত ফুড আউটলুক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিত, আবহাওয়া নিয়ে উদ্বেগ এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাজারে বাড়তে থাকা অনিশ্চয়তা খাদ্যপণ্যের বাজারকে সংকুচিত করছে। খাদ্যপণ্যের আমদানি ব্যয় বেড়ে রেকর্ড উচ্চতার দিকে এগোচ্ছে।
এফএও বলছে, খাদ্য সংকটের ঝুঁঁকিতে থাকা অনেক দেশ অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে বিনিময়ে খুব স্বল্প পরিমাণ খাদ্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সক্ষম হচ্ছে। পশু চর্বি ও ভোজ্যতেল রেকর্ড সর্বোচ্চ আমদানি ব্যয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে। উন্নয়নশীল দেশগুলো মোটের ওপর দানাদার খাদ্যশস্য, তেলবীজ ও মাংস আমদানি কমাচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধির চাপ সামাল দিতে না পারারই প্রতিচ্ছবি এটি।
চলতি বছর প্রধান প্রধান খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। চার বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো উৎপাদন কমার পূর্বাভাস মিলেছে। বৈশ্বিক জোগানেও ২০ বছরের মধ্যে প্রথম নি¤œমুখী প্রবণতা দেখা দিয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পশুখাদ্যের ব্যবহার ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মানুষের খাদ্য হিসেবে শস্যের ব্যবহারে খুব বেশি প্রভাব পড়বে না।
গমের বৈশ্বিক উৎপাদন ও জোগানে নতুন রেকর্ড তৈরি হওয়ার আভাস মিলেছে। মূলত ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্রে ইথানল উৎপাদনে ব্যাপকতা এক্ষেত্রে সহায়তা করছে। ভোজ্যতেলের বৈশ্বিক ব্যবহার উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তথ্য বলছে, গত দুই মাসে এফএওর খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক কমেছে। এরপরও মূল্যসূচক সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাছাকাছি অবস্থান করছে। গত বছরই বেশ কয়েকটি শস্য আকাশচুম্বী দামের তালিকায় নাম লেখায়। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কাউন্সিল (আইজিসি) জানায়, ২০২২-২৩ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন চার কোটি টন কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গম, ভুট্টা ও যবের নি¤œমুখী উৎপাদন খাদ্যশস্যের সর্বোপরি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। আইজিসি বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২৫ কোটি ১০ লাখ টনে।
এদিকে উৎপাদন কমলেও খাদ্যশস্যের ব্যবহার বা চাহিদার মাত্রা ঊর্ধ্বমুখীই থাকবে। ফলে মৌসুম শেষে বৈশ্বিক মজুত কমে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। গ্রেইনস কাউন্সিলের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য ৩ শতাংশ কমে যেতে পারে। এ সময় বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪০ কোটি ৪০ লাখ টনে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমবে ভুট্টা ও যবের বাণিজ্য।
তবে সয়াবিনের বৈশ্বিক উৎপাদন ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখছে আইজিসি। গত মৌসুমের তুলনায় উৎপাদন ১১ শতাংশ বেড়ে ৩৭ কোটি ৮০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে।
শস্যটির বাণিজ্য ৮ শতাংশ বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এশিয়ার বাজারেই শস্যটির সবচেয়ে বেশি লেনদেন হবে। অন্যদিকে চালের বৈশ্বিক উৎপাদনও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রাখবে এশিয়া।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়