ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি জায়েদ খানের

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ : পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনার প্রস্তাবে সমর্থন

পরের সংবাদ

২৫ বছরে অনন্য ‘বাঁধন’ : ৯ লাখের বেশি ব্যাগ রক্তদান, ২১ লাখ ব্লাডগ্রুপ নির্ণয়

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঢাবি প্রতিনিধি : রক্তদাতাদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বাঁধন’ প্রতিষ্ঠার ২৫ বছরে মানুষকে বিনামূল্যে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ব্যাগ রক্তদান এবং ২০ লাখ ১৭ হাজার মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করেছে। সংগঠনটির ২৫ বছর পূর্তিতে রবিবার বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাঁধন রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক এস এম কোরবান আলী।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাঁধনের উদ্যোক্তা মো. শাহিদুল ইসলাম রিপন, বাঁধন ফাউন্ডেশনের সভাপতি রকীব আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মীর আসাদুজ্জামান রিন্টু, বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদের উপদেষ্টা আসাদুল ইসলাম আসাদ, বাঁধন রজতজয়ন্তী উদযাপন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মাজহারুল হুদা লিজন, বাঁধন কেন্দ্রীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহ নেওয়াজ।
সংবাদ সম্মেলনে এস এম কোরবান আলী বলেন, স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ, রক্তদান এবং সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে এই দীর্ঘ সময়ে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ব্যাগ রক্তদান, ২০ লাখ ১৭ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করে দেয়া, করোনাকালীন প্লাজা সাপোর্ট সেন্টারের মাধ্যমে রোগীদের ৩২২ ইউনিট প্লাজমা প্রদান, ৭৪১টি পরিবার ও ৫৪৫ জন ব্যক্তিকে খাদ্যদ্রব্য সহায়তা ও ৫৩ জন ব্যক্তিকে নগদ অর্থ প্রদান, ৩৮৬ পরিবার ও ৫৪৫ জন ব্যক্তিকে ইফতারসামগ্রী প্রদান, বাঁধন ট্রান্সফিউশন সেন্টারের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত সর্বমোট ১৪ হাজার ৩১১ ব্যাগ রক্ত সরবরাহ করাসহ দেশের বিভিন্ন দুর্যোগের সময় নানা সহায়তা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বাঁধন।
তিনি আরো বলেন, ২৪ অক্টোবর সংগঠনটির রজতজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, ২৫ হাজার বৃক্ষরোপণ, রোগী এবং ডোনারের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে ‘বাঁধন অ্যাপস’ তৈরি, ২৫ বারের বেশি রক্তদাতাদের সম্মাননা, বাঁধন মিলনমেলা, স্যুভেনির প্রকাশসহ ১৪টি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ‘একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন’ সেøাগানকে সামনে রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ১৯৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর একটি বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে বাঁধন।
বর্তমানে সংগঠনটি দেশের ৫৩টি জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে মোট ১৪০টি ইউনিটে কাজ করছে। এছাড়া সংগঠনটির ২ হাজার ৪৪৩ জন সক্রিয় কর্মীসহ সাবেক কয়েক হাজার কর্মী প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মরত আছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়