ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি জায়েদ খানের

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ : পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনার প্রস্তাবে সমর্থন

পরের সংবাদ

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের অর্থায়ন : দুবছর ধরে বন্ধ আদিবাসী শিক্ষকদের সম্মানী

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে মূলধারায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে নির্মিত ৪টি আদিবাসী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে। শিক্ষক, ক্লাসরুম, শিক্ষা উপকরণ থাকলেও ২ বছর ধরে শিক্ষকদের সম্মানী বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয়গুলোর অর্থায়ন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে করা হলেও দীর্ঘদিন ধরে সম্মানী বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। এতে করে এক প্রকার অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়গুলোর ভবিষ্যৎ। সম্মানী বন্ধ থাকায় শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
সদর উপজেলার কালীতলা দিলজান আদিবাসী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কৃষ্ণপুর আদিবাসী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৪টি বিদ্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, আদিবাসীদের শিক্ষার মান বৃদ্ধি ও সবার জন্য শিক্ষা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সদর উপজেলায় ৪টি বিদ্যালয় নির্মাণ করা হয়। শিক্ষকও নিয়োগ দেয়া হয়। প্রতিটি শ্রেণিতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীকে পাঠদান শুরু হয়। বর্তমানে অন্য সরকারি বিদ্যালয়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আদিবাসী বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীরাও দুর্বারগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথমদিকে বিনা পারিশ্রমিকে শিক্ষকরা পাঠদান চালিয়ে আসার পর ২০১৯-২০ সালে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে সম্মানী প্রদান করা হয়। ২০২১ সাল থেকে অদ্যাবধি শিক্ষকদের সম্মানী বন্ধ রয়েছে। এতে করে তারা চরম হতাশায় ভুগছেন।
সদর উপজেলার মাদারগঞ্জ কৃষ্ণপুর আদিবাসী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টি আদিবাসী পল্লীর সঙ্গে লাগানো। প্রথমে চাটাই বেড়ার রুম থাকলেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে নতুন বিল্ডিং নির্মিত হয়। বর্তমানে বিল্ডিং ঘরের মাঝে ৪-৫টি কক্ষ রয়েছে বিদ্যালয়টিতে। শিক্ষক রয়েছেন ৪ জন। শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৫০ জন। চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী একজন। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মো. সুজন, সহকারী শিক্ষক হিসেবে লাভলী বেগম, সারমিন আকতার, ফেন্সি বেগম ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে এজবেলা কর্মরত রয়েছেন। ওই দিন পঞ্চম শ্রেণির ক্লাসরুমটিতে প্রায় ৩০-৩৫ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতে দেখা যায়।
উল্লিখিত ৪টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, ২০১৯-২০ সালে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসের মাধ্যমে রূপালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সম্মানী পেয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ ২ বছর ধরে পাঠদান চালিয়ে এলেও সম্মানী বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মাদারগঞ্জ কৃষ্ণপুর আদিবাসী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে মূল ধারায় নিতে এ বিদ্যালয়গুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। তাই যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর অর্থায়নে এ বিদ্যালয়গুলো শুরু হয়েছে সেহেতু শিক্ষকদের সম্মানী ভাতার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
গতকাল রবিবার ওই ৪টি বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষক জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় সম্মানী ভাতা বন্ধ থাকার বিষয়টি জানালে তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মো. সামসুজ্জামানকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে পরিচালিত হতো। বর্তমানে অর্থায়ন বন্ধ রয়েছে, তাই শিক্ষকদের সম্মানী ভাতা তারা পাচ্ছেন না। পুনরায় অর্থায়ন চালু হলে শিক্ষকরা আবার সম্মানী ভাতা পাবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়