ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি জায়েদ খানের

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ : পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনার প্রস্তাবে সমর্থন

পরের সংবাদ

পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধে সরকারি প্রকল্প

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রতি বছর দেশে যে সংখ্যক মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায় তার উল্লেখযোগ্য সংখ্যকই শিশু। অপর্যাপ্ত শিশুযতœ, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে বাংলাদেশের অনেক শিশু তাদের পূর্ণ সম্ভাবনায় পৌঁছাতে পারে না। তাই দেশে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে এবার যাত্রা শুরু করেছে সরকারি প্রকল্প। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন করবে। সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশুযতœ কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং শিশুর সাঁতার সুবিধা প্রদান শীর্ষক এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
গতকাল রবিবার সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এই প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার। বক্তব্য রাখেন, ব্লুমবার্র্গ ফিলানথ্রোপিজের পরিচালক কেলী লারসন, যুক্তরাজ্যের রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউশনের হেড অব ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামস্ স্টিভ উইলস, সিনারগোসের প্রোগ্রাম পরিচালক চং-লিম লি, বাংলাদেশ ইসিডি নেটওয়ার্কের সহসভাপতি মাহমুদা আকতার, সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন এন্ড রিসার্চ, বাংলাদেশের উপনির্বাহী পরিচালক ড. আমিনুর রহমান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিশু সুরক্ষায় এই প্রকল্পটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ হিসেবে চিহ্নিত থাকবে। আমরা আশা করি, প্রকল্পটির সাফল্য নি¤œ ও মধ্য আয়ের দেশগুলোকে পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু রোধে পথ দেখাবে।
প্রসঙ্গত; সমাজভিত্তিক সমন্বিত প্রাক- শৈশব বিকাশ (ইসিসিডি) সেবাসহ শিশু সুরক্ষায় এ প্রকল্পটি চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি একনেকে অনুমোদিত হয়। এ বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ বছর মেয়াদি প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭১ দশমিক ৮২ কোটি টাকা। ৮০ শতাংশ বহন ব্যয় করবে বাংলাদেশ সরকার এবং উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা বহন করবে ২০ শতাংশ। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক দিক-নির্দেশনায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কেন্দ্রীয় ও জেলা শাখার তত্ত্বাবধানে দেশের ১৬টি জেলায় শিশুযতœ বিষয়ে অভিজ্ঞ স্থানীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ের এনজিওদের মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিজ এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউশন কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়