ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি জায়েদ খানের

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ : পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনার প্রস্তাবে সমর্থন

পরের সংবাদ

দুই সংস্থার সমন্বয়হীনতা : নোয়াখালীতে পানির লাইন স্থানান্তরে সড়কের ক্ষতি

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সদর উপজেলার সালেহপুর এলাকার খালের ভেতরে স্থাপন করা নোয়াখালী পৌরসভার পানি সরবরাহ লাইন ফুটো হয়ে যাওয়ায় সেটি স্থানান্তর করে সড়কের পাশে স্থাপনের পরিকল্পনা নেয় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। খালের ভেতরে স্থাপন করা পানির ওই লাইনটি সড়কের পাশে স্থাপন করায় সড়কের ক্ষতিসাধন হওয়ায় বাধা দেন স্থানীয়রা। আর এ জন্য স্থানীয়রা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছেন।
গত শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহববুর রহমান, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেলসহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর নোয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নোয়াখালী পৌরসভার পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় শহর থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে সালেহপুর এলাকায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই পানির লাইন স্থাপন করা হয়। সড়কের পাশে মাটি না থাকায় সালেহপুর এলাকায় ২০০ মিটার পাইপ খালের ভেতর স্থাপন করা হয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, খালের ভেতর স্থাপন করা ওই পানির লাইন একাধিকবার দুর্বৃত্তরা ফুটো করে দেয়। এতে পানির পাইপের ভেতর ময়লা পানি প্রবেশ করায় সেটি স্থানান্তর করে সড়কের পাশে স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়। কিন্তু পাইপ লাইনটি সড়কের পাশে স্থানান্তর করতে গেলে স্থানীয় কিছু লোক বাধা দেয়। এতে পাইপ লাইন উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হয়।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ নোয়াখালী কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহর মাইজদী ইসলামিয়া ও ওদারহাট ১৫ কিলোমিটার সড়ক ২০১৮ সালের চুক্তি অনুযায়ী প্রায় ৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার কাজ মানসম্মতভাবে শেষ হয়েছে। তবে এখনো চূড়ান্ত চুক্তিমূল্য পরিশোধ না হওয়ায় সড়কের কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে বুঝে নেয়া হয়নি। স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের স্থাপনকৃত পানি সরবরাহের পাইপ লাইনটি স্থানান্তর করে সড়কের পাশে স্থাপন করায় নতুন করে সংস্কার কাজ সম্পন্ন হওয়া টেকসই সড়কটির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বয়হীনতার কারণে সড়কের ক্ষতি হওয়ায় আমরা কাজে বাধা দিয়েছি।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ নোয়াখালীর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নিজাম উদ্দিন জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের পানির পাইপ লাইনটি ফুটো হয়ে যাওয়ায় তারা ওই পাইপ লাইনটি সড়কের পাশে স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এতে সড়কের ক্ষতি হচ্ছে অভিযোগ তুলে স্থানীয় লোকজন পাইপ লাইন সড়কের পাশে স্থাপন কাজে বাধা দেয়। গতকাল জেলা প্রশাসক সরজমিন গিয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে সড়কের যে অংশে ক্ষতি সাধন হচ্ছে, তা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সংস্কার করে দেবেন মর্মে সমাধান করে দেন। তবে এ বিষয়ে সড়ক বিভাগের সঙ্গে লিখিত চুক্তি হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়