ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি জায়েদ খানের

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ : পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনার প্রস্তাবে সমর্থন

পরের সংবাদ

দশমিনায় প্রকল্প কর্মকর্তার হামলার শিকার শিক্ষক

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : দশমিনা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি সড়কের নির্মাণকাজে দুর্নীতির অভিযোগ জানাতে এসে হামলার শিকার হয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের সিকদাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জহির মেলকার। গতকাল রবিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ ভবনের দোতলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। দশমিনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহত প্রধান শিক্ষককে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহত প্রধান শিক্ষক ও প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় সিকদাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে সুমন সরদার বাড়ি পর্যন্ত এইচবিবির এক কিলোমিটার ইটের সড়ক নির্মাণকাজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে রবিবার দুপুরে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন প্রধান শিক্ষক জহির মেলকার। এ সময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষককে কিল-ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম।
সিকদাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাই মো. মনিরুজ্জামান বলেন, তিনি সরকারি কর্মচারী হয়ে একজন প্রধান শিক্ষকের গায়ে হাত তুলে গর্হিত কাজ করেছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দশমিনা থানার এসআই আবীর গোলদার বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাংলাবাজার বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আনোয়ার হোসেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিচার দাবি করে বলেন, শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, উভয়পক্ষ আমার কাছে অভিযোগ করেছে। এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয়া হবে। তিনি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগ করতে এসে উনি উত্তেজিত হয়ে অফিস তছনছ করার হুমকি দিয়ে আমার শার্টের কলার ধরেন। পরে তিনি আমার গায়ে জুতা ছুড়ে মারেন। প্রধান শিক্ষককে মারধর করার অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়