ওমর সানীকে গুলি করার হুমকি জায়েদ খানের

আগের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ : পাচার হওয়া অর্থ দেশে আনার প্রস্তাবে সমর্থন

পরের সংবাদ

উইন্ডিজে ডিউস বলে টাইগার পেসারদের পরীক্ষা

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সাদা পোশাকে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে আবারো মাঠে নামার অপেক্ষার প্রহর গুনছে টাইগাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়ার আগে সাদা পোশাকে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন সাকিব। মাত্র একদিন পরই দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তবে এখনো সম্প্রচার জটিলতার অবসান ঘটেনি এই সিরিজের। দুই ম্যাচের টেস্ট, তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজের পূর্ণাঙ্গ সিরিজের সম্প্রচার স্বত্ব পায়নি বাংলাদেশের কোনো চ্যানেল। স্বাগতিকদের মাঠে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের। কিছুদিন আগেও ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের সিরিজে ইংল্যান্ডকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে ক্যারিবীয়রা। অ্যান্টিগা ও বার্বাডোজে ড্র করার পর সেন্ট জর্জে ১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছিল হোল্ডাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে টাইগার বোলারদের। নতুন কন্ডিশনে, নতুন বলে বেশ চাপে থাকবে প্রতিটি বোলার। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ক্রিকেট মানেই ডিউস বল। সেখানে সব খেলাই হয়ে থাকে ডিউস বলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড ছাড়া অন্যান্য দেশে সাধারণত কুকাবুরা ও এসজি বলে খেলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। তাই বোলাররা সাধারণ কুকাবুরা ও এসজি বলেই বেশি অভ্যস্ত। ডিউজ বল ও কুকাবুরা বলের মৌলিক পার্থক্য সিমে। ডিউক বলের সিম বেশি খাড়া ও লম্বা সময় টিকে থাকে। কুকাবুরা বলে সিম উঁচু নয়। বলের সঙ্গে সিম মিশে থাকে। এছাড়া এসজি বলের সিম কুকাবুরার চেয়ে সামান্য উঁচু হয়। ডিউস বলে খুব কমসংখ্যক বাংলাদেশি ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা আছে। তবে এই সিরিজে ডিউস বলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। দীর্ঘদিন পর সাদা পোশাকে টাইগার শিবিরে প্রত্যাবর্তন করেছেন তিনি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই সাদা পোশাকে শেষ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ। দলের প্রয়োজনে এখন আবার ফিরেছেন টাইগারদের দলে। এমনিতেও টেস্ট ফরমেটে মোস্তাফিজের অভিজ্ঞতা বেশি দিনের নয়। এ পর্যন্ত মাত্র ১৪ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। উইকেট সংখ্যাও খুব একটা আহামরি নয়। ২৩ ইনিংস বল করে পেয়েছেন মাত্র ৩০ উইকেট। দীর্ঘ বিরতির পর সাদা পোশাকে ফিরেই ডিউস বলের চ্যালেঞ্জ তার সামনে। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড কোনো দেশেই খেলেননি তিনি। তাই অভিজ্ঞতার ঝুলি একেবারে শূন্য। মোস্তাফিজের কোনোরূপ অভিজ্ঞতা না থাকলেও ভয় নেই টাইগারদের।
ডিউস বলের অভিজ্ঞতার ঝুড়ি নিয়ে বোলারদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ৫ টেস্টে ২৪.৯৫ গড়ে ২০ উইকেট পেয়েছেন অ্যালান ডোনাল্ড। আর ইংল্যান্ডে ৮ টেস্টে ৪৫ উইকেট রয়েছে তার নামের পাশে। এ মুহূর্তে ডোনাল্ডের থেকে অধিকতর কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে না কেউ। তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যস্ত আছেন এবাদত-খালেদরা। সেজন্যই শুধু মোস্তাফিজকে নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন ডোনাল্ড। সাদা পোশাকে মাঠে নামার আগে গত শুক্রবার রাত থেকে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। মোস্তাফিজের সঙ্গে ডিউস বলের সেশন শেষ করে ডোনাল্ড বলেছেন, আইপিএলের পর প্রথম বোলিং করল সে। বল নিয়ে কিছুটা ধারণা দিলাম তাকে। ডিউক বলে এটি তার প্রথম অভিজ্ঞতা। খুব সূ² পরিবর্তন করেছি তার গ্রিপে। তার মনে হচ্ছে, বেশ ভালোভাবে হাত থেকে বেরোচ্ছে বল। তিনি আরো বলেছেন, কুকাবুরা থেকে এবার ডিউক বলের পালা মোস্তাফিজের। যে বলের সঙ্গে আমি খুব ভালোভাবেই পরিচিত। ওয়ারউইকশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে ও ইংল্যান্ডে টেস্ট ম্যাচে খেলেছি এই বলে। এই বলের সিম বেশ উঁচু। অনেক কাজ করতে হবে এটিতে মানিয়ে নিতে হলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজে ডোনাল্ডের কর্মশালায় মোস্তাফিজ থাকলেও বাকি বোলাররা প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের ঝালিয়ে নেয়ার চেষ্টায় আছে। কিন্তু সেখানেও এক এবাদতকে ছাড়া অন্যদের মধ্যে কেউ সফল নয়। কুলিজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে ১০৯ রানে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৬৬ ওভার খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে ফেলেছে স্বাগতিকরা। বাংলাদেশের হয়ে এবাদত হোসেন পেয়েছেন ৩ উইকেট ও রেজাউর রহমান রাজা পেয়েছেন ১ উইকেট। এছাড়া খালেদ, মিরাজ, তাইজুল, মোসাদ্দেক, শান্তরা হাত ঘুরালেও কোনো উইকেটের দেখা পাননি। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের পক্ষে শেষ পর্যন্ত একাই লড়েছেন তামিম ইকবাল। ১৬২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। এছাড়া হাফসেঞ্চুরি পেয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বাকিদের কেউই নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৯৭ ওভারে ৭ উইকেটে ৩১০ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথম দিন শেষে ৮২.৫ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ২৭৪ রান ছিল টাইগারদের। তামিমের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১৪০ রানের জুটি গড়ে শান্ত আউট হন ৯৯ বলে ৫৪ রান করে। এছাড়া মাহমুদুল জয় ০, মুমিনুল হক ০, ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাস ৪ ও মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হন ৭ রান করে। ইয়াসির আলী রাব্বি ১১ রান নিয়ে আহত অবসরে যান। দিনের খেলা শেষে তামিমের সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৬ রান নিয়ে খেলতে নেমে তিনি ১৯ করে আউট হন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়