মামলায় জিতে টাকা ‘ইনকাম’

আগের সংবাদ

ভোক্তার সুফল কোন পথে : বাজেটে কর বাড়লে দাম বাড়ে, কর কমলে দাম কমে না, সরকারি সিদ্ধান্তের সুফল পান না ভোক্তারা

পরের সংবাদ

সীতাকুণ্ড ট্র্যাজেডি : বিএম ডিপোর সাত ডিভিআর মেশিন জব্দ

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও আগুনে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা তদন্তে এবার ডিপোতে থাকা ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ধারণকৃত দৃশ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে বিশেষজ্ঞ দল। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত তথ্য-উপাত্ত দিয়ে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ও কারণ নির্ণয়ের চেষ্টা করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার সকালে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একটি টিম বিএম ডিপো পরিদর্শন করে ১১৮টি সিসিটিভি ক্যামেরার সাতটি ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডিং (ডিভিআর) মেশিন জব্দ করেছে। একই দিন চট্টগ্রাম বন্দরের একটি টিমও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তারা ডিপোতে কর্মরত বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, ডিপোটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর ছিল। পুরো বিএম কন্টেইনার ডিপো ১১৮টি সিসিটিভি ক্যামেরা দিয়ে মনিটর করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হতো। এসব ক্যামেরার মধ্যে ৩২টি ছিল আইপি সিসি ক্যামেরা। এসব ক্যামেরার তথ্য সংরক্ষিত হতো সাতটি ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডিং (ডিভিআর) মেশিনে। বিস্ফোরণের ধ্বংসযজ্ঞে সবকটি সিসি ক্যামেরা ভস্মীভূত হয়েছে। ডিভিআর মেশিনও অনেকটা নষ্ট হয়ে গেছে। তারপরও সিআইডির দল গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএম কন্টেইনার ডিপোর ভেতরে ক্ষতিগ্রস্ত সার্ভার রুমে গিয়ে ডিভিআর মেশিনগুলো জব্দ করেন। একইভাবে নষ্ট হওয়া ডিভিআরের ছবি তোলেন ও তথ্য সংগ্রহ করেন। আগুনের সূত্রপাত হওয়া স্পটটি পর্যবেক্ষণ করেন। পরে সিআইডি টিমের সদস্যরা এসব আলামত থানা পুলিশ বা তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেন।
সিআইডি চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিদর্শক মোহাম্মদ শরীফ বলেন, গতকাল শনিবার সকালে বিএম ডিপো থেকে আমরা কিছু ডিজিটাল আলামত সংগ্রহ করেছি। বিস্ফোরণের কারণে আইটি কক্ষটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সিসি ক্যামেরার তথ্য সংরক্ষণ করা ডিভিআর মেশিনগুলো জব্দ করা হয়েছে। তবে মেশিনগুলো এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চালিয়ে দেখার মতো অবস্থা নেই। তবুও পরীক্ষার উপযোগী করা যায় কিনা, সে চেষ্টা করবেন তদন্ত কর্মকর্তারা। মামলা যেহেতু তদন্ত করছে থানা পুলিশ তাই আমরা জব্দ করা ডিজিটাল আলামতগুলোও থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি।
এদিকে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিপোতে প্রবেশ করেন চট্টগ্রাম বন্দরের উপপরিচালক (নিরাপত্তা) মেজর ওয়াহিদের নেতৃত্বে একটি টিম। মেজর ওয়াহিদ বন্দর গঠিত তদন্ত কমিটিরও সদস্য। তারা বিস্ফোরণের স্থান পরিদর্শন, ক্ষতিগ্রস্ত কন্টেইনার ও শেড ঘুরে দেখেন বলে বিএম ডিপোর কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। তবে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে যাওয়া এসব কর্মকর্তারা সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের কারণ, অগ্নিকাণ্ডের স্থান ও কীভাবে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল তা সুনির্দিষ্টভাবে কেউ বলতে পারছেন না। কেননা অগ্নিকাণ্ডের শুরুতে যেসব কর্মকর্তা দায়িত্বরত ছিলেন তাদের অনেকে মারা গেছেন। আবার কেউ কেউ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে এখন কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না তদন্ত কর্মকর্তাদের। ফলে অগ্নিকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে সিসি ক্যামেরাই এখন মূল ভরসা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়