মামলায় জিতে টাকা ‘ইনকাম’

আগের সংবাদ

ভোক্তার সুফল কোন পথে : বাজেটে কর বাড়লে দাম বাড়ে, কর কমলে দাম কমে না, সরকারি সিদ্ধান্তের সুফল পান না ভোক্তারা

পরের সংবাদ

শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল : চিকিৎসক সংকট আর অচল মেশিনে ধুঁকছে চিকিৎসাসেবা

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম কে রানা, বরিশাল থেকে : চিকিৎসক সংকট আর রোগ নির্ণয়ের অচল মেশিনের কারণে ধুঁকে ধুঁকে চিকিৎসাসেবা চলছে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ চিকিৎসাসেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। দীর্ঘদিন ধরেই এ অবস্থা চলতে থাকায় ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা। অভিযোগ রয়েছে, ব্যক্তি মালিকানাধীন ল্যাবের সঙ্গে হাসপাতালের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের কারণে বছরের পর বছর এ অবস্থা থেকে উত্তরণ হচ্ছে না হাসপাতালটির। কর্তৃপক্ষ বলছে, চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শেবাচিম হাসপাতালে প্রায় ৪৫ শতাংশ চিকিৎসক সংকট রয়েছে। তাছাড়া হাসপাতালের ২২টি ইউনিটে মোট ৪৫০টি মেশিনের মধ্যে পুরোপুরি অচল রয়েছে ৮৫টি আর মেরামতযোগ্য আছে ৭৪টি মেশিন। হাসপাতালের একমাত্র এমআরআই মেশিনটি ২০০৭ সালে চালুর পর ৯ বছর মোটামুটি চললেও গত ৬ বছর ধরে বিকল রয়েছে মেশিনটি। এছাড়া একমাত্র সিটি স্ক্যান মেশিনটিও গত ৪ বছর ধরে বন্ধ।
অভিযোগ উঠেছে, সরকারি মেশিনগুলো যখন অচল, তখন হাসপাতালের আশপাশে একের পর এক গড়ে উঠছে ব্যক্তি মালিকানার ল্যাব। রোগীদের অভিযোগ- সরকারি মেশিন নষ্টের অজুহাত দেখিয়ে বেশি টাকায় বাধ্য করা হয় বাইরের ল্যাবে পরীক্ষা করাতে। এসব ল্যাবের সঙ্গে হাসপাতালের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটও গড়ে উঠেছে। অথচ প্রতিদিন ধারণক্ষমতার প্রায় তিন গুণ বেশি রোগী সেবা নেন এই হাসপাতাল থেকে। শেবাচিম হাসপাতালের আউটডোর ডক্টরস এসোসিয়েশন সভাপতি ডা. সৌরভ সূতার বলেন, দক্ষিণাঞ্চল ছাড়াও অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন জেলার রোগীরা উন্নত চিকিৎসা নিতে শেবাচিম হাসপাতালে আসেন। কিন্তু রোগীর তুলনায় হাসপাতালে ডাক্তার সংকট রয়েছে। তার উপরে আবার অনেক রোগ নির্ণয় মেশিন বিকল অবস্থায় রয়েছে। এতে রোগীদের কাক্সিক্ষত সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের দাবি, হাসপাতালের বেশির ভাগ মেশিনই অচল, তা মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই। আবার সেবার মান নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ। দক্ষিণাঞ্চলের রোগীদের উন্নত কথা চিন্তা সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে হস্তক্ষেপ করা উচিত।
বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালের ধারণক্ষমতার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালের কিছু কিছু মেশিন বিকল অবস্থায় রয়েছে এবং কিছু মেশিন মেরামতযোগ্য স্বীকার করে তিনি জানান, এসব মেশিন মেরামত করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে ৩৩টি মেশিনের ১৩৫টির চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়