মামলায় জিতে টাকা ‘ইনকাম’

আগের সংবাদ

ভোক্তার সুফল কোন পথে : বাজেটে কর বাড়লে দাম বাড়ে, কর কমলে দাম কমে না, সরকারি সিদ্ধান্তের সুফল পান না ভোক্তারা

পরের সংবাদ

শিবালয়ের ইছামতি ডায়াগনস্টিক সেন্টার : আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে চলছে কার্যক্রম

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সুরেশ চন্দ্র রায়, শিবালয় (মানিকগঞ্জ) থেকে : দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধের কড়া নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ মে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক মানিকগঞ্জ সদরসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩টি ক্লিনিককে আর্থিক অর্থদণ্ড এবং ৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। তিন উপজেলার যে ৫টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে তাদের কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয় তাদের মধ্যে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে (উথলী হাসপাতাল গেটে) অবস্থিত ইছামতি ডায়াবেটিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার একটি। এই অভিযানের পর বেআইনি কোনো স্বাস্থ্যসেবাকেন্দ্র চালু থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এমন সতর্কবাণীর পরও শিবালয় উপজেলার উথলীতে অবস্থিত ইছামতি ডায়াবেটিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে যথারীতি তাদের অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ব্যবসা চলমান রেখেছে।
গত মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ইছামতি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ রোগীদের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা ও এক্স-রে, ইসিজি ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করাতে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রিসিপশনিস্টকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতেই তিনি তড়িঘড়ি সটকে পড়েন। কিছুক্ষণ পর দেখা মেলে ইছামতি ডায়াবেটিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক আবু দাউদার। তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপডেট না থাকার কারণে তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তবে এখন তিনি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপডেটের জন্য সিভিল সার্জন অফিসে আবেদন করেছেন। সেই আবেদন কপি শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টি এইচ এ ডা. ফজলে বারিকে দেখালে তিনি তাকে তার প্রতিষ্ঠান চালু রাখতে বলেছেন।
শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টি এইচ এ ডা. ফজলে বারি জানান, ইছামতি ডায়াবেটিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপডেট না থাকায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। তবে পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপডেট করেছে। আপনি তাদের কাগজপত্র দেখেছেন কিনা প্রশ্নে তিনি জানান, আমাদের সেনেটারি ইন্সপেক্টর বলেছেন, এখন তাদের সব কাগজপত্র ঠিক আছে। এ মর্মে আমি তাকে প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রাখার নির্দেশ দিয়েছি।
মানিকগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অভিযানে যেসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সেসব প্রতিষ্ঠান যদি আবার ব্যবসা করতে চায় তবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের বিষয়ে অবশ্যই শতভাগ স্বচ্ছ হতে হবে। শুধু আবেদনপত্রের কপি দিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। আমার নলেজে না দিয়ে একজন টি এইচ এ কোনোভাবেই ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে এভাবে মৌখিক অনুমতি দিতে পারেন না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়