মামলায় জিতে টাকা ‘ইনকাম’

আগের সংবাদ

ভোক্তার সুফল কোন পথে : বাজেটে কর বাড়লে দাম বাড়ে, কর কমলে দাম কমে না, সরকারি সিদ্ধান্তের সুফল পান না ভোক্তারা

পরের সংবাদ

রেল সচিব : কসবা স্টেশনের নির্মাণকাজ শুরু শিগগিরই

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : কসবা সীমান্তে ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’ জটিলতায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাধার কারণে বন্ধ থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা রেলওয়ে স্টেশনের নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ূন কবির। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
গতকাল সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকা থেকে আন্তঃনগর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে তিনি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছান। এ সময় স্টেশন এলাকায় রেলপথ নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন তিনি। পরে আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে লাকসামে যান। রেলপথ সচিব হুমায়ূন কবির বলেন, কসবা রেলওয়ে স্টেশনের নির্মাণকাজ পুনরায় শুরুর ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে।
আশা করছি খুব শিগগিরই কাজ শুরু করতে পারব।
উল্লেখ্য, নো ম্যানস ল্যান্ড জটিলতায় কসবা রেলওয়ে স্টেশনের নির্মাণকাজে বাধা দেয় বিএসএফ। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে কাজ বন্ধ করে রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণে রেলগেট এলাকার মানুষের লাইন পার হওয়ার সুবিধার্থে কোনো ব্যবস্থা করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জনগণের জন্য যা ভালো হয় তাই করা হবে। প্রয়োজন হলে ফুটওভার ব্রিজ দেয়া হবে। আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ নির্মাণ কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাজ পরিদর্শন করছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা শেষ করা হবে। এ সময় তিনি প্রকল্প পরিচালক ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সময়মতো কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেন।
পরে রেল সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনে কুমিল্লা যান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- আখাউড়া-লাকসাম রেলপথ ডুয়েলগেজ প্রকল্প পরিচালক শহীদুল ইসলাম, রেলওয়ের অতিরিক্ত পরিচালক কামরুল হাসান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম ২৫৩ কিলোমিটারের মধ্যে তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে এ পথের টঙ্গী-ভৈরব-৬৪ কিমি, লাকসাম-চিনকি আস্তানা-৭১ কিমি নির্মাণ করা হয়। অন্যদিকে ১১৮ কিলোমিটার মিটারগেজ ডাবল লাইন রেলপথ আগেই তৈরি ছিল। বাকি ৭২ কিলোমিটার রেলপথ ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনে উন্নীত করার জন্য ‘লাকসাম-আখাউড়া ডাবল লাইন প্রকল্পটি’ নেয় বাংলাদেশ রেলওয়ে, যার মধ্যে ২৪ কিমি সম্পন্ন হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়