প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। তবে সেখানে ব্যবসাবান্ধব, পরিবেশসম্মত ও পরিকল্পিত শিল্প-কারখানা গড়ে তুলতে হবে। সবচেয়ে বেশি জরুরি পরিবেশ। গ্যাস সংযোগসহ সেটি নিশ্চিত করতে পারলে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ভবিষ্যতে দক্ষিণাঞ্চল হবে দেশের সবচেয়ে উন্নত এলাকা।
গতকাল শনিবার বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্টস এসোসিয়েশন (বিডিজেএ) আয়োজিত ‘পদ্মা সেতু :
দক্ষিণাঞ্চলের স্বপ্ন বুনন’- শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আয়োজিত এই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক, কবি তৌহিদুল হক ও বিডিজেএর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সৈকত।
সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে দক্ষিণাঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। তবে সেখানে ব্যবসাবান্ধব, পরিবেশসম্মত ও পরিকল্পিত শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে হবে। তবে সবচেয়ে বেশি জরুরি পরিবেশ। সেটি নিশ্চিত করতে পারলে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর আগামীতে দক্ষিণাঞ্চল হবে দেশের সবচেয়ে উন্নত এলাকা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একটা সেতুর জন্য এত মানুষ উন্মুখ হয়ে বসে আছে, এমনটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। পদ্মা সেতু আসলে সারাদেশের মানুষের স্বপ্ন বুনন। বারবার বলা হয়েছে পদ্মা সেতু হবে না। কিন্তু সেটা করে দেখিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এখন লোকজন নতুন কথা বের করছে। আমি বলব, তোমরা যারা পাণ্ডিত্য দেখাচ্ছ তারা অন্য জায়গায় দেখাও। আমাদের তোমরা উৎসব করতে দাও। তোমরা পার্টিতে আসো, না হয় চুপ থাক।
সেমিনারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা, আত্মবিশ্বাসের স্বপ্নগাথা হলো পদ্মা সেতু। কিন্তু এটি নিয়ে নোংরা রাজনীতি, নষ্ট রাজনীতি, ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু সবকিছু পেছনে ফেলে সেতু নির্মাণ শেষ হয়েছে। অনেক সম্ভাবনা থাকার পরও যাতায়াতে সমস্যার কারণে বড় বড় শিল্পগোষ্ঠী দক্ষিণাঞ্চলে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখায়নি। তবে আগামী দিনে অর্থনীতির নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে পদ্মা সেতুর মধ্যদিয়ে। আগামীতে ভারত, নেপাল, ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ সম্ভব হবে।
পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেন, বরিশাল এলাকার উন্নয়নের জন্য আমাদের অঞ্চলে যারা আছেন সেসব ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ করতে হবে। কিন্তু সেখানে পরিবেশটা খুব জরুরি। কিন্তু এলাকা দখলদারিত্বের মনোভাব থাকলে পদ্মা সেতু কিন্তু সেতুই থেকে যাবে। সময়মতো মাছ, ফল ও সবজি ঢাকায় আসতে পারবে না।
অবৈধ বালু উত্তোলন নিয়ে নিজের শঙ্কার কথা জানিয়ে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে লোহা দিয়ে বাঁধ দিলেও বাঁধ টিকবে না। অবৈধ বালু উত্তোলনকারী যাই হোক তার শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ইদানীং অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে পারলে নদীর বাঁধ ঠেকানো যাবে।
সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা মেরিনা মীরা বলেন, এতদিন বরিশাল অনেক কিছু দিলেও আমরা বরিশালের জন্য কিছুই করতে পারিনি। বরিশালে ভারি ও মাঝারি শিল্প কম, যে কারণে ঢাকায় প্রচুর মানুষ কাজ করে। এতদিনে ছোটখাটো শিল্প কারখানা গড়ে উঠলেও সামনে আরো গড়ে তুলতে হবে। একটি উন্নয়নযজ্ঞে যেসব খাতের মানুষ আছে, তাদের এক হয়ে ভাবতে হবে।
সেমিনারে আরো আলোচনা করেন এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমাল পারভেজ, বরগুনার পৌর মেয়র কামরুল আহসান মহারাজ, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক নিজাম উদ্দিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম হাসিব প্রমুখ।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।