মামলায় জিতে টাকা ‘ইনকাম’

আগের সংবাদ

ভোক্তার সুফল কোন পথে : বাজেটে কর বাড়লে দাম বাড়ে, কর কমলে দাম কমে না, সরকারি সিদ্ধান্তের সুফল পান না ভোক্তারা

পরের সংবাদ

যমুনায় বেড়েছে পানি দেখা দিয়েছে ভাঙন

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হেলাল উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ থেকে : টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে জেলার অভ্যন্তরীণ নদনদীর পানিও। ফলে বন্যার আশঙ্কা করছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ।
দ্রুতগতিতে পানি বৃদ্ধির কারণে চৌহালীর এনায়েতপুরে তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায় ২০টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে আরো বহু স্থাপনা।
গতকাল শনিবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিরাজগঞ্জের গেজ রিডার হাসানুর রহমান জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ১৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১ দশমিক ৯৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্রের সতর্কতা অনুযায়ী যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান। জানা যায়, যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে জেলার অভ্যন্তরীণ নদনদীসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত শুক্রবার সকাল থেকে চৌহালী উপজেলার খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণে ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকায় যমুনা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে ভাঙন শুরু হয়। এতে মুহূর্তের মধ্যে ব্রাহ্মণগ্রামের ২০টি বসতভিটা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে বহু বসতবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি। ভাঙনরোধে বালুর বস্তা ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যমুনা নদীর পাশাপাশি জেলার অভ্যন্তরীণ ফুলজোর, ইছামতি, করতোয়া, বড়াল ও চলনবিলে পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে নদী তীরবর্তী চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার ফসলি জমির কাঁচা পাট, তিল, বাদাম, আখ ও শাকসবজি বাগানে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে এসব ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, যমুনা নদীতে পানি তিন-চার দিন বাড়বে। পানি বৃদ্ধি পেলেও শহর রক্ষা পয়েন্টে বিপদসীমার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ভাঙনকবলিত এলাকাগুলোতে বালুর বস্তা ফেলার কাজ চলমান রয়েছে। চৌহালীতে ভাঙন রক্ষায় অর্থ বরাদ্দ পেলে বাঁধ নির্মাণকাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়