মামলায় জিতে টাকা ‘ইনকাম’

আগের সংবাদ

ভোক্তার সুফল কোন পথে : বাজেটে কর বাড়লে দাম বাড়ে, কর কমলে দাম কমে না, সরকারি সিদ্ধান্তের সুফল পান না ভোক্তারা

পরের সংবাদ

মেসির জার্সি ৪ কোটি টাকায় বিক্রি

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : খেলোয়াড়দের জার্সি সংগ্রহে রাখাটা অনেকের কাছে শখের ব্যাপার। তবে সেটি যদি হয় আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির জার্সি এবং সে জার্সি পড়েই তিনি ৫০০তম গোলটি করেছেন, তাহলে সেটি হয়ে ওঠে মহামূল্যবান। বার্সার জার্সিতে মেসির ৫০০তম গোলের সেই ম্যাচটি ছিল রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে, যে কারণে সেটি আরো বেশি গুরুত্ব বহন করে। সাড়ে চার লাখ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ২১ লাখ টাকা) খরচ করে এবার সেই জার্সিটি কিনে নিয়েছেন কানাডার নাগরিক ২৪ বছর বয়সি অনিশ কানাবার।
পাঁচ বছর আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের মাদ্রিদের বিপক্ষে এল ক্লাসিকোতে ২-২ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচে জর্দি আলবার পাস থেকে ম্যাচের শেষ কিকে গোল করে স্কোরবোর্ড পাল্টে দেন লিওনেল মেসি। তার এই গোলেই ৩-২ ব্যবধানে রোমাঞ্চকর এক জয় তুলে নেয় বার্সেলোনা। গোলের পরই গায়ের জার্সিটা খুলে রিয়াল সমর্থকদের দিকে উঁচিয়ে ধরেছিলেন মেসি। যারা সেদিন ম্যাচটি দেখেছেন, তাদের সবার কাছেই এখনো হয়তো সেই উদযাপনের দৃশ্যটা ভেসে ওঠে। আর সেই গোলটিই ছিল বার্সার জার্সিতে তার ৫০০তম গোল। তিনি বলেন, ‘সত্যিটা হলো মেসি যে দলে খেলে, আমি সে দলেরই ভক্ত। তার জন্য বার্সার সমর্থক ছিলাম। এখন পিএসজির জন্য গলা ফাটাই। অর্থাৎ মেসি যে দলেই খেলুন না কেন, আমি সে দলেরই ভক্ত।’
মেসির জার্সিটি কিনে নেয়া অনিশ কানাবার একজন ফুটবপ্রেমী। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বসবাস করেছেন কম্পিউটার বিজ্ঞানের এই ছাত্র। জার্সিটি তার সংরক্ষণে আসার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে জানান, ‘নিজের ৫০০তম গোলে এল ক্লাসিকোর ভাগ্য নির্ধারণের পর এই জার্সিটা মেসি উঁচিয়ে ধরেছিলেন। এটা হলি গ্রেইলের (যীশুর পানপাত্র) মতোই পবিত্র।’ তবে জার্সিটা তার হাতে আসার আগে আরো দুবার হাতবদল হয়। সেদিন ম্যাচ শেষে রিয়ালের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে জার্সি বদল করেন মেসি। তিনি জার্সিটি ৫ বছর নিজের কাছে রেখে দেন, রিয়ালের সেই খেলোয়াড়ের নাম অবশ্য জানা যায়নি। এরপর তার থেকে জার্সিটি কিনে নেন আর্জেন্টিনার ব্যবসায়ী এবং মেসির খেলার বিভিন্ন সময়ে জার্সি ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংরক্ষণ করে খ্যাতি কুড়ানো দামিয়ান অলিভেরা। এরপর জার্সিটি তিনি গোল্ডিনের সাইটে নিলামে তুললে সুযোগ পেয়ে কিনে নেন অনিশ কানাবার। এরপর আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ‘লা নাসিওন’কে তিনি বলেন, ‘খুব টাকার দরকার না পড়লে এই জার্সি আমি বেচব না। সারা জীবন নিজের কাছে রাখতে চাই এটি।’

২০০৯ সালে বার্সার ‘ট্রেবল’ জেতার বছরে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে লা লিগায় মেসি যে জার্সি পরে খেলেছিলেন, তাও আছে অনিশের সংগ্রহে। এছাড়া ১৯৯৪ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্লে-অফে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যারাডোনার পরা জার্সিটিও নিজের সংগ্রহশালায় রেখেছেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়