মামলায় জিতে টাকা ‘ইনকাম’

আগের সংবাদ

ভোক্তার সুফল কোন পথে : বাজেটে কর বাড়লে দাম বাড়ে, কর কমলে দাম কমে না, সরকারি সিদ্ধান্তের সুফল পান না ভোক্তারা

পরের সংবাদ

মুরাদনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ভোগান্তি : চার অ্যাম্বুলেন্সের তিনটিই বিকল, ১টির চালক নেই

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রায়হান চৌধুরী, মুরাদনগর (কুমিল্লা) থেকে : মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা পাওয়া রোগী এবং তার আত্মীয়ের কাছে অনেকটা আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো হয়ে পড়েছে। অসুস্থ রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিতে হলে হাসপাতালের সামনে থাকা বিভিন্ন বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ও দালালদের খপ্পরে পড়তে হচ্ছে রোগীর আত্মীয়স্বজনকে। এতে করে জরুরি প্রয়োজনে রোগীকে আনা-নেয়া করতে গুনতে হয় চড়া ভাড়া। হাসপাতালটিতে চারটি অ্যাম্বুলেন্স থাকার পরও সেবা না পাওয়ায় হাসপাতালে আগত রোগী ও স্বজনদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল কমপ্লেক্সের সামনে খোলা আকাশের নিচে প্রায় ১৫ বছর ধরে বিকল হয়ে পড়ে আছে দুটি অ্যাম্বুলেন্স। অন্য একটি যান্ত্রিক ক্রটি ও চালক না থাকা পড়ে থেকে বিকল হয়ে পড়ে। অ্যাম্বুলেন্সগুলো বিকল হওয়ায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলার রোগীরা। এরই মাঝে গত ১৭ মার্চ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা পরিচালনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় অবকাঠামো উন্নয়ন উপ-প্রকল্পের মাধ্যমে ২৭ লাখ ৬২ হাজার ৫শ টাকা মূল্যের একটি অ্যাম্বুলেন্স পায় হাসপাতল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু প্রায় ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষ এই হাসপাতালে কোনো চালক নিয়োগ না দেয়ায় এটিও অচল হয়ে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে স্থানীরা। স্থানীয়দের অভিযোগ রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধানের অভাবেই গাড়িগুলো চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে করে স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, যান্ত্রিক ক্রটির কারণে ২০০৬ সালে বিকল হয়ে পড়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স। দীর্ঘ সময় অচল পড়ে থাকায় ইঞ্জিন স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। একইভাবে ২০১৩ সাল থেকে অচল হয়ে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে আরো একটি অ্যাম্বুলেন্স। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স দুটির যন্ত্রাংশও চুরি করে একটি চক্র বিক্রি করে দিয়েছে।
অপর একটি অ্যাম্বুলেন্সে প্রায় ৩ বছর থেকে চালক না থাকা ও দীর্ঘ সময় অচল পড়ে থাকায় ইঞ্জিন স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়। উপজেলায় প্রায় ১৫ লাখ লোকের বসবাস। তাদের দ্রুত চিকিৎসাসেবা দেয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি মাত্র অ্যাম্বুলেন্স সচল থাকলেও চালক না থাকায় রোগীদের কোনো কাজে আসছে না। এতে করে উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের বসবাসরত প্রায় ১৫ লাখ মানুষের মধ্যে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর হাজার হাজার লোকের ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। প্রতিদিন চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগী চিকিৎসাসেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের সব কয়টি অ্যাম্বুলেন্স অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকায় মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসা কাজে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো কাজে আসছে না। এ সুযোগে রোগী পরিবহনে হাসপাতালের মূল ফটকে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স। গুরুতর অসুস্থ রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর ও ঢাকা নিতে হলে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া উপায় থাকে না।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমুল আলম বলেন, বিকল হওয়া অ্যাম্বুলেন্স সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়