মামলায় জিতে টাকা ‘ইনকাম’

আগের সংবাদ

ভোক্তার সুফল কোন পথে : বাজেটে কর বাড়লে দাম বাড়ে, কর কমলে দাম কমে না, সরকারি সিদ্ধান্তের সুফল পান না ভোক্তারা

পরের সংবাদ

বিশ্বকাপের আগে ছন্দহারা ফ্রান্স

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের নেশন্স লিগের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। গতকাল অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে আবারো ১-১ গোলে ড্র করেছে বেনজেমা-এমবাপ্পেরা। ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকা ফ্রান্স দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামা কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলেই সমতায় ফেরে খেলার শেষ সময়ে। কোনোরকম হার এড়িয়ে এক পয়েন্ট পাওয়ার ম্যাচে ফরাসিদের ত্রাতা এই পিএসজি ফরোয়ার্ড। বিশ্বকাপের আগে ফ্রান্সের সময়টা ভালো যাচ্ছে না। উয়েফা নেশন্স লিগে প্রথম দুই ম্যাচের একটি হার এবং অন্য দুটি ম্যাচে ড্র করার পর গ্রপ টেবিলের একদম তলানিতে ফ্রান্স। যে কারণে ‘এ’ লিগের গ্রুপ ওয়ান থেকে পরবর্তী রাউন্ডে ওঠা কঠিনই করে ফেলেছে তারা।
উয়েফা নেশন্স লিগে নিজেদের শুরুর ম্যাচে ঘরের মাঠে ডেনমার্কের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে ফরাসিরা। এরপর দুটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে সমতা নিয়ে ফিরেছে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। এরপর ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে তারা। এদিন গ্রুপের আরেক ম্যাচে মারিও পাসালিচের একমাত্র গোলে ডেনমার্ককে ১-০ গোলে হারিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। এই ম্যাচে ডেনমার্ক হারলেও ফ্রান্স ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়েছে। আর অস্ট্রিয়া-ক্রোয়েশিয়া সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে তালিকার ২ ও ৩-এ। দুদলই একটি জয়, একটি ড্র এবং একটি ম্যাচে হেরেছে। অন্যদিকে কোনো ম্যাচে জয় না পেয়ে দুই ড্রতে ২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রপের এতদম তলানিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। জুনের এই আন্তর্জাতিক বিরতিতে ১৪ জুন ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি খেলবে ফ্রান্স। ঘরের মাঠে সেই ম্যাচে ক্রোয়াটদের হারিয়েই জয়ের ধারায় ফিরতে চান এমবাপ্পে-বেনজেমারা।
ক্লাব মৌসুম শেষ হওয়ার পরই শুরু হয়েছে নেশন্স লিগ। এখানেও খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে বেশ কয়েকটি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে দলগুলোকে। যে কারণে চোট আর ক্লাব মৌসুমের ক্লান্তির কারণে আগের ম্যাচগুলোর মতো এই ম্যাচেও সেরা একাদশ না নামিয়ে কিছু পরীক্ষার পথ বেছে নেন ফরাসি কোচ দেশম। চোটের কারণে এমবাপ্পেও ছিলেন না খেলার প্রথম একাদশে। সেন্টারব্যাক ইব্রাহিম কোনাতের অভিষেক হয়েছে, করিম বেনজেমাকে সামনে রেখে পেছনে গ্রিজমান, ডান উইংয়ে মুসা দিয়াবে এবং বাঁ পাশে কিংসলে কোমানকে খেলান ফরাসি কোচ।
অস্ট্রিয়াতে খেলতে যেয়ে ফ্রান্স জয় না পেলেও পুরো ম্যাচে আধিপত্যটা তাদেরই ছিল। ভিয়েনার আরনেস্ট হ্যাপেল স্টেডিয়ামে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে শুরুতে লড়াইটা জমিয়ে তোলে স্বাগতিকরাই। প্রথমার্ধে এগিয়ে যায় অস্ট্রিয়া। ফ্রান্সের একের পর এক আক্রমণ ঠেকাতে কোচ রালফ রাঙ্গনিকের পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা এদিন শুরুতে এগিয়ে দেয় স্বাগতিকদের। ব্রিস্টল সিটিতে খেলা ৩০ বছর বয়সি স্ট্রাইকার আন্দ্রে উইম্যান ১-০ গোলে এগিয়ে নেন অস্ট্রিয়াকে। ম্যাচের ৩৭ মিনিটের মাথায় ডিফেন্ডারের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে দারুণ পাস দেন কনরাড লাইমার। ছয় গজ বক্সের মুখ থেকে সহজেই বাকি কাজ সারেন আন্দ্রে উইম্যান। এটি তার প্রথম আন্তর্জাতিক গোল। এরপর প্রথমার্ধে আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় স্বাগতিক অস্ট্রিয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেও একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ফ্রান্স। কিন্তু অস্ট্রিয়ার রক্ষণভাগকে পরাস্ত করতে পারছিল না তারা। এরপর ম্যাচের ৬৩ মিনিটে আঁতোয়ান গ্রিজমানের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এরপর তিনিই ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেন।
মাঠে নামার ২০ মিনিট পর দলের ত্রাতা হয়ে ওঠেন তিনিই। ৮৩ মিনিটে ক্রিস্টোফার এনকুকুর সঙ্গে বল দেয়া নেয়া করে দারুণ এক শটে পোস্টের কর্ণার দিয়ে জালে বল জড়ান এমবাপ্পে। এর চার মিনিট দলকে জেতানোর সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি। করিম বেনজেমার সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে শট নিলেও অস্ট্রিয়া গোলরক্ষকের পা ছুঁয়ে বারে লাগে বল। এরপর আর কোনো গোল না হলে ১-১ ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
দলের এমন পারফরম্যান্সে ফরাসিদের কোচ দেশম কিছুটা হতাশই বলা যায়। গতকালের ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে গোল করতে না পারায় আমি হতাশ। অনেক সময় আমরা কম সুযোগ থেকেও গোল আদায় করে নিই। তবে আমি এ নিয়ে ভাবছি না। এখন খেলোয়াড়দের চোট ও ক্লান্তি নিয়ে কাজ করতে হবে।’
প্রথম ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে চোট পেয়ে প্রথমার্ধের পর আর মাঠে নামেননি এমবাপ্পে। তবে গতকালের ম্যাচে তিনিই ত্রাতা। যে কারণে কোচ চাইলে ক্রোয়াটদের বিপক্ষে ম্যাচেও যে তাকে পাওয়া যাবে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। এই ফরাসি ফরোয়ার্ড ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আজকে জিততে পারিনি, এখানে যে জন্য এসেছিলাম, তা করতে পারিনি। তবে এই পয়েন্ট আমাদের একটা প্রাপ্তি, চেষ্টা করব সোমবারের ম্যাচ জিততে। আমি শতভাগ ফিট নই। তবে কোচের যদি আমাকে প্রয়োজন হয়, অবশ্যই প্রস্তুত থাকব। ছুটির আগে এটাই তো শেষ ম্যাচ, নিজেদের আরেকটু অনুপ্রাণিত তাই করতেই পারি।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়