মামলায় জিতে টাকা ‘ইনকাম’

আগের সংবাদ

ভোক্তার সুফল কোন পথে : বাজেটে কর বাড়লে দাম বাড়ে, কর কমলে দাম কমে না, সরকারি সিদ্ধান্তের সুফল পান না ভোক্তারা

পরের সংবাদ

পাবনায় এমপি প্রিন্সকে নির্বাচনী এলাকায় না যেতে ইসির চিঠি

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পানা প্রতিনিধি : পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘আচরণবিধি’ লঙ্ঘন করার অভিযোগে পাবনা-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সকে নির্বাচনী এলাকায় না যেতে অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল শনিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পাবনা সদর উপজেলা নির্বাচন কমিশনার ও ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার কায়সার মোহাম্মদ।
রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত ও শুক্রবার রাতে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকারের সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা বা নির্বাচন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠেয় ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনপূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করতে আপনাকে বিনীতভাবে অনুরোধ করা হলো।

আজ রবিবার নৌকার প্রার্থী আবু সাঈদ খানের নির্বাচনী সভায় তার প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে। এর আগে গত ৩ জুন সদরের ভাঁড়ারা ইউনিয়নের খতিব আব্দুল জাহিদ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে বিদ্যালয় ভবন উদ্বোধনের ব্যানারে নৌকার প্রার্থী আবু সাঈদ খানের নির্বাচনী সভায় নৌকার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি।
ওই সভার পর পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের নৌকার বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী সুলতান মাহমুদ অভিযোগ করে বলেন, এমপি খতিব জাহিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের বিল্ডিং উদ্বোধনের নামে নির্বাচনী সভা করে গেছেন। নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। সভায় অন্তত দুই-তিন হাজার মানুষ হয়েছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী তিনি এভাবে সভা করতে পারেন না। তার উপস্থিতিতে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকরা আমাদের হুমকি-ধমকি দিয়ে বক্তব্যও দিয়েছেন।
এ বিষয়ে পাবনা সদর-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আমি যেহেতু ঢাকায় রয়েছি, সেহেতু চিঠিটি আমার লোকজন রিসিভ করেছেন।
সম্প্রতি সেখানকার একটি স্কুলের প্রোগ্রামে আবু সাঈদ খান এসেছিলেন। তিনি দলীয় প্রার্থী এবং দলীয় পদে রয়েছেন। তাই নির্বাচন নিয়ে কিছু কথা হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে হয়তো অন্য প্রার্থীরা অভিযোগ দিয়েছিলেন। ফলে নির্বাচন কমিশন এই চিঠি দিয়েছে। সংসদ সদস্য হলেও আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই।
পাবনা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কায়ছার মোহাম্মাদ বলেন, পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছি। তাকে চিঠি দিয়ে সতর্ক এবং নির্বাচনী এলাকায় না যেতে অনুরোধ করা হয়েছে।
পাবনা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বিষয়টি নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন। একজন এমপি এভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সমাবেশ বা নির্বাচনী অনুষ্ঠানে ভোট চাইতে পারেন না। গত ৩ জুন একটি বিদ্যালয়ে বিল্ডিং উদ্বোধন করতে গিয়ে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে তিনি ভোট চান। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানানো হলো এমপিকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়