মামলায় জিতে টাকা ‘ইনকাম’

আগের সংবাদ

ভোক্তার সুফল কোন পথে : বাজেটে কর বাড়লে দাম বাড়ে, কর কমলে দাম কমে না, সরকারি সিদ্ধান্তের সুফল পান না ভোক্তারা

পরের সংবাদ

থানচিতে ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি : বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম রেমাক্রী ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার ৪-৫টি পাহাড়ি গ্রামে এক সপ্তাহ ধরে ম্যালেরিয়ার সঙ্গে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ডায়রিয়ায় পাড়ার প্রধান কারবারিসহ দুজন মারা গেছেন। আক্রান্তের সংখ্যা অর্ধশতেরও বেশি।
জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে খবর পেয়ে গত শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একটি চিকিৎসক টিম সেখানে গেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তাছাড়া প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মারমা রনি জানান, রেমাক্রী ইউনিয়নের ৬-৯নং ওয়ার্ডে ঙাঁরেসা পাড়া, ম্রংগং পাড়া, ইয়াংরে পাড়া, ইয়াংব পাড়াসহ ৪-৫টা পাহাড়ি গ্রামে এক সপ্তাহ ধরে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত দুজন ডায়রিয়ায় মারা গেছেন। আমি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের জানানোর পর দ্রুত চিকিৎসকের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসক টিম যে পরিমাণ প্রয়োজনীয় ওষুধ ও স্যালাইন নিয়ে গেছে তাতে প্রয়োজন মিটছে না। আমরা আবারো পাঠানোর ব্যবস্থা করব। দুর্গম সীমান্ত অঞ্চল হওয়ায় যাতায়াত অনেক কষ্টসাধ্য। সাঙ্গু নদীপথে ইঞ্জিনচালিত নৌকার মাধ্যমে যেতে হয়।
ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ার বিষয়ে চেয়ারম্যান রনি বলেন, পাহাড়ে আগাম বৃষ্টিতে ঝিরি-ঝরনার ময়লা-আবর্জনা মেশানো পানির ব্যবহার করতে হয়। এ সময়ে জনসাধারণকে পানি ফুটিয়ে খেতে বলা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সচেতনতার অভাবে পানি ফুটিয়ে পান না করায় পানিবাহিত রোগ বাড়ছে। এছাড়া ঘরের আঙিনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখলে মশার উপদ্রব কমে যায়। এতে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। পাহাড়ে মশার উপদ্রব হয় সাধারণত রাতে।
এ সময় মশারি ব্যবহার করলে মশার কামড় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়া দিনের বেলায় জুমের কাজ করার সময় ছোট মশার কামড়ে জ¦র, কাশি, বুক ব্যথাসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ-ব্যাধি হতে পারে। কয়েক বছর ধরে ডায়রিয়া ও ম্যালেরিয়া হয়নি, এ বছরে হচ্ছে। আমরা মোকাবিলা করে যাচ্ছি। সীমান্তে একটি কমিউনিটি হেলথ সেন্টার ও একজন এমবিবিএস চিকিৎসক রাখা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান রনি ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাবের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আক্রান্তের সংখ্যা বলা হয়নি। তবুও পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রয়োজনীয় ওষুধ, স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, মশারি, ম্যালেরিয়া পরীক্ষার কিট এবং ম্যালেরিয়াসংক্রান্ত ওষুধ দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ আমরা সব সময় যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছি। দুুর্গম এলাকা বা সীমান্ত অঞ্চল হওয়ায় আমাদের কর্মীদেরও যেতে কষ্ট হয়। তারপরও তারা ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত রয়েছে। শুধু জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতা করলেই হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়