মামলায় জিতে টাকা ‘ইনকাম’

আগের সংবাদ

ভোক্তার সুফল কোন পথে : বাজেটে কর বাড়লে দাম বাড়ে, কর কমলে দাম কমে না, সরকারি সিদ্ধান্তের সুফল পান না ভোক্তারা

পরের সংবাদ

টিপু হত্যাকাণ্ড : মুসার তথ্য যাচাই করে দেখছে ডিবি

প্রকাশিত: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শাহজাহানপুর এলাকায় আলোচিত টিপু হত্যাকাণ্ডের মামলার তদন্ত করতে গিয়ে ইতোমধ্যেই নানা রকম তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারী সংস্থা ডিবির হাতে। এ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সুমন শিকদার ওরফে শুটার মুসাকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে সেই তথ্যগুলোই ক্রসচেক করে দেখছেন তারা। এ ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও আগ্নেয়াস্ত্রের সন্ধান এখনো না মেলায় জিজ্ঞাসাবাদে সে বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে। এছাড়া খুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তারকৃত ১৩ জনের সঙ্গে পর্যায়ক্রমে মুসাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তারা।
ডিবি সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার দুপুরের পর মুসাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ডিবির দায়িত্বপ্রাপ্তরা। জিজ্ঞাসাবাদে নানা তথ্য মিলেছে। নতুন ও পুরনো সব মিলিয়েই তথ্য দিচ্ছেন মুসা। তবে সেই তথ্যগুলো কতটা ঠিক, নির্ভুল অভিযোগপত্র দেয়ার জন্য সেসব ক্রসচেক করে দেখছেন তারা। চাঁদার টাকার ভাগ্বাটোয়ারা ছাড়া অন্য কোনো বিষয় রয়েছে কিনা তা জানতেও তদন্ত চলছে।
গত ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে শাহজাহানপুর আমতলায় ইসলামী ব্যাংকের সামনে এক কলেজ ছাত্রীসহ টিপু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার শুটার মাসুম মোহাম্মদ ওরফে আকাশের স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দিতে মূল পরিকল্পনাকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে মুসার নাম আসে। পরে জানা যায়, মুসা ঘটনার আগেই ১২ মার্চ দেশ ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত চলে যান। তার সন্ধান পেতে ৬ এপ্রিল পুলিশ সদর দপ্তরের এনসিবি শাখায় যোগাযোগ করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তর ৮ এপ্রিল মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইন্টারপোলের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু করে। এর মধ্যে ৮ মে জানা যায়, মুসা দুবাই থেকে ওমানে প্রবেশ করেছেন।
ইন্টারপোলের ওমান পুলিশ এনসিবির সহযোগিতায় গত ১২ মে মুসাকে গ্রেপ্তার করে। বাংলাদেশ পুলিশের একটি টিম ওমানে গিয়ে গত বৃহস্পতিবার মুসাকে দেশে ফিরিয়ে আনে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিবি মতিঝিল বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, আসলে এ ঘটনার পর অনেক তথ্যই ছিল, যা যাচাইয়ের সুযোগ ছিল না। তবে মুসাকে গ্রেপ্তারের ফলে আমরা এখন অনেক কিছু মিলিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছি। এর আগেও গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানিয়েছিলেন, মুসাকে না পেয়ে মামলার তদন্তে হিমশিম খাচ্ছিলেন তারা। এখন মুসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডে কার কার দায় আছে, কার নেই অথবা কে বাদ বা যুক্ত হবে, সেটি খতিয়ে দেখা হবে। মুসাকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে মামলাটি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়