কাগজ প্রতিবেদক, রংপুর : জিনের হাত থেকে নিজেকে রক্ষার জন্য কবিরাজের পরামর্শে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ধর্ষক মেজবাউল হক ঘুটুসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৩ রংপুর সদর দপ্তরের সদস্যরা। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে এক দম্পতিও রয়েছে।
গতকাল শনিবার নগরীর আলমনগর পানি উন্নয়ন বোর্ডের র‌্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান র‌্যাব কমান্ডার রেজা আহামেদ ফেরদৌস। তিনি জানান, গত ২ জুন রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার খলেয়া এলাকায় সূর্যিনা বেগম ও তার স্বামী আজাহারুল ইসলাম সেখানকার এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে দুপুরে স্কুল ছুটির পর বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর তারা শিশুটিকে দুপুরের খাবার খাওয়ানোর পর মোবাইলে গান শোনায় এবং অশ্লিল ভিডিও দেখায়। একপর্যায়ে তারা কৌশলে তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর ধর্ষক ঘুটু বাড়িতে ঢুকে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করে সেখান থেকে চলে যায়। শিশুটি বাড়ি ফেরার পর সন্ধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা গত ৪ জুন গঙ্গাচড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এ ঘটনায় র‌্যাব তদন্ত শুরু করে গতকাল শনিবার ভোরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর এলাকা থেকে ধর্ষক মেজবাউল হক ঘুটু এবং সহযোগী সূর্যিনা বেগম ও তার স্বামী আজাহারুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
কমান্ডার রেজা আহামেদ ফেরদৌস জানান, ধর্ষক মেজবাউল হক ঘুটুকে জিজ্ঞাসাবাদের পর সে জানায়, তার (ঘুটু) ওপর জিনের আছর পড়েছে। স্থানীয় এক কবিরাজ তাকে বলেছে শিশু ধর্ষণ করলে তার ওপর কোনো দিন জিনের আছর পড়বে না। তাই সে ওই কবিরাজের পরামর্শে শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে।