ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যশুরু

আগের সংবাদ

অর্থ পাচার উৎসাহিত হবে! পাচার হওয়া টাকা অর্থনীতির মূল¯্রােতে আনতে চান অর্থমন্ত্রী > বৈষম্যের শিকার হবেন সৎ করদাতারা : বিশ্লেষকদের অভিমত

পরের সংবাদ

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার : টাকা চুরির সন্দেহেই বন্ধুকে হত্যা

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : রাণীনগরে টাকা চুরির সন্দেহে ও টাকা ফেরত না দেয়ায় অটোভ্যানচালক হযরত আলীকে (২৫) হত্যা করেছে তার বন্ধু নাহিদ হোসেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদরের পূর্ব বালুভরা গ্রামের নাহিদ হোসেনের নির্মাণাধীন ঘরের মেঝে খুঁড়ে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। হযরত আলী উপজেলা সদরের পূর্ব বালুভরা গ্রামের জমসেদ আলী মণ্ডলের ছেলে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে উপজেলা সদরের পূর্ব বালুভরা গ্রামে মৃত রেজ্জাকের ছেলে মো. নাহিদ হোসেনকে (২৬) গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন নওগাঁর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) গাজিউর রহমান পিপিএম। এ সময় রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ, পুলিশ পরিদর্শক (ডিএসবি) নন্দিতা সরকারসহ রাণীনগর থানা পুলিশের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) গাজিউর রহমান জানান, নিহত যুবক হযরত আলী পেশায় একজন অটো চার্জার ভ্যানচালক ছিলেন। পারিবারিক কলহের জেরে হযরত আলী বেশ কিছু দিন ধরে নিজের বাড়িতে থাকতেন না। পার্শ্ববর্তী স্থানে বন্ধু নাহিদ হোসেনের বাড়িতে থাকেন। গত ৩ জুন রাত ৯টার দিকে হযরতের অটো চার্জার ভ্যান গ্যারেজে চার্জে রেখে বন্ধু নাহিদের বাড়িতে ঘুমাতে যান। এরপর ৪ জুন থেকে নিখোঁজ হন হযরত। পরিবারের লোকজন হযরতকে নিখোঁজের ৬ দিনেও না পাওয়ায় তার বাবা জমসেদ আলী ও ফুফু দেলোয়ারা গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থানায় আসেন। এ সময় হযরতের বাবা ও ফুফু পুলিশকে কিছু তথ্য দেন। সেসব তথ্য যাচাই-বাছাই করে নাহিদ হোসেনকে আটক করা হয়। এরপর নাহিদের দেয়া তথ্যমতে তার নির্মাণাধীন একটি ঘরের মেঝের মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় হযরতের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি আরো জানান, নাহিদের ড্রয়ারে রাখা ১০/১৫ হাজার টাকা হযরত আলী চুরি করেছে বলে সন্দেহ করে নাহিদ। এরপর ৪ জুন সকালে হযরতকে সেই টাকাগুলো ফিরিয়ে দেয়ার জন্য চাপ দিতে থাকলে হযরত কোনো টাকা নেননি বলে জানান। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এদিন সকালেই কিস্তির টাকা প্রয়োজন হওয়ায় আবারো হযরতের কাছে টাকা চান নাহিদ। ওইদিন সকাল ৯টার দিকে নাহিদ তার ঘরের ভেতর হযরতের গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের পর হযরতের প্যান্টের পকেটে থাকা ৪ হাজার টাকা বের করে নেয় নাহিদ। ওইদিন বিকাল ৪টার দিকে নাহিদ নিজেই তার নির্মাণাধীন একটি ঘরের মাটির মেঝেতে গর্ত করে মরদেহ বস্তায় ভরে ঝুট কাপড় দিয়ে বেঁধে পুঁতে রাখে।
এ ঘটনায় হযরতের বাবা জমসেদ আলী মণ্ডল রাণীনগর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। নাহিদ হোসেনকে গ্রেফতার করে গতকাল শুক্রবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়