সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় শরীফুল ইসলাম (৩৬) নামে এক ফার্নিচার দোকানের কর্মচারীকে ধারালো স্টিলের কাটার দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ঘাতক শাহ আলমকে এলাকাবাসী ধারালো স্টিলের কাটার ও রক্তমাখা শার্টসহ আটক করে সোনারগাঁও থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সোনারগাঁও থানা থেকে ২০০ মিটার দূরে আয়েশা আমজাদ ক্লিনিকের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত শরীফুল ইসলাম চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সতন্তর গ্রামের রফিকুল ইসলাম হাওলাদারের ছেলে।
ঘটনার পর পরই শরীফুল ইসলামের ঘাতক ছিনতাইকারী শাহ আলমকে এলাকাবাসী ধাওয়া করে স্টিলের কাটার ও রক্তমাখা শার্টসহ আটক করে থানায় সোপর্দ করেছেন। ছিনতাইকারী শাহ আলম সোনারগাঁও পৌরসভার অনন্তমুছা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।
নিহতের ছোট ভাই মো. হানিফ হোসেন বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, সোনারগাঁও থানা রোডের মেন্দিভিটা এলাকায় আয়েশা আমজাদ ক্লিনিকের সামনে স্থানীয় নীলা ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী শরীফুল ইসলামের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ছিনতাইকারী শাহ আলম। এ সময় শরীফুল ইসলাম তার মোবাইল না দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো স্ট্রিলের কাটার দিয়ে গলায় আঘাতে রক্তাক্ত জখম করে দ্রুত পালিয়ে যেতে চায়। এ সময় আহত শরীফুল ইসলামের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
ছিনতাইকারী শাহ আলম সোনারগাঁও থানা পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।