ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যশুরু

আগের সংবাদ

অর্থ পাচার উৎসাহিত হবে! পাচার হওয়া টাকা অর্থনীতির মূল¯্রােতে আনতে চান অর্থমন্ত্রী > বৈষম্যের শিকার হবেন সৎ করদাতারা : বিশ্লেষকদের অভিমত

পরের সংবাদ

বৈশ্বিক খাদ্যশস্য উৎপাদন কমতে পারে ৪ কোটি টন!

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ২০২২-২৩ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন চার কোটি টন কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গম, ভুট্টা ও যবের নি¤œমুখী উৎপাদন খাদ্যশস্যের সর্বোপরি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। স¤প্রতি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কাউন্সিল (আইজিসি) ৫৬তম কাউন্সিল সেশনে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইজিসি বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে বিশ্বজুড়ে খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ২২৫ কোটি ১০ লাখ টনে। এদিকে উৎপাদন কমলেও খাদ্যশস্যের চাহিদার মাত্রা ঊর্ধ্বমুখীই থাকবে। ফলে মৌসুম শেষে বৈশ্বিক মজুত কমে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
গ্রেইনস কাউন্সিলের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২২-২৩ মৌসুমে খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক বাণিজ্য ৩ শতাংশ কমতে পারে। এ সময় বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪০ কোটি ৪০ লাখ টনে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমবে ভুট্টা ও যবের বাণিজ্য।
তবে সয়াবিনের বৈশ্বিক উৎপাদন ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা দেখছে আইজিসি। গত মৌসুমের তুলনায় উৎপাদন ১১ শতাংশ বেড়ে ৩৭ কোটি ৮০ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। শস্যটির বাণিজ্য ৮ শতাংশ বাড়বে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এশিয়ার বাজারেই শস্যটির সবচেয়ে বেশি লেনদেন হবে। অন্যদিকে চালের বৈশ্বিক উৎপাদনও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রাখবে এশিয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে বিশ্ব অর্থনীতিতে যখন গতি সঞ্চার হচ্ছিল, তখন খাদ্যশস্যের বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। কিন্তু লজিস্টিকস, পরিবহন, শ্রমিক সংকটসহ নানা প্রতিবন্ধকতায় বাজার ধীরে ধীরে অস্থিতিশীল হতে শুরু করে। এর মধ্যেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সূত্রপাত বাজারকে দীর্ঘ অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেয়।
বৈশ্বিক গম রপ্তানির সিংহভাগই আসে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। যুদ্ধের প্রভাবে ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরগুলো অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে তলানিতে নামে রপ্তানি। অন্যদিকে পশ্চিমা দেশগুলোর একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার রপ্তানিও ব্যাহত হয়। বাজার যখন যুদ্ধসহ বহুমুখী সংকটে জর্জরিত ঠিক তখনই গম রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয় অন্যতম শীর্ষ উৎপাদক ভারত। এ ঘোষণার পর খাদ্যশস্যের বাজার আরো নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় লাতিন আমেরিকার দেশগুলোয় উৎপাদন হতাশার জন্ম দিয়েছে। এ অঞ্চল থেকে প্রত্যাশিত উৎপাদন আসার সম্ভাবনা না থাকায় বাজারে সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য নিয়ে উদ্বেগ কাটছে না কোনোভাবেই।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা জানায়, গত মাসে টানা দ্বিতীয়বারের মতো কমেছে খাদ্যপণ্যের বৈশ্বিক দাম। এক্ষেত্রে সহায়তা করেছে ভোজ্যতেলের নি¤œমুখী বাজার। কিন্তু অন্যান্য পণ্যের কমলেও ঊর্ধ্বমুখী ছিল গমের দাম। তথ্য বলছে, চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে গমের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য প্রায় ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া খাদ্যশস্যের দাম বাড়ার পেছনে ভারতের গম রপ্তানি নিষেধাজ্ঞাও ভূমিকা পালন করেছে।
তবে সম্প্রতি কৃষিপণ্যের বাজারে স্থিতি ফিরতে শুরু করেছে। তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানায়, গত সপ্তাহে গমের দাম ১০ দশমিক ২, ভুট্টার ৬ দশমিক ৪, চাল ও তুলার ৩ দশমিক ৯, সয়াবিনের ২ ও চিনির ১ দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। তবে কফির দাম ১ দশমিক ৩ ও কোকোর দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়