পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : প্রায় ১১ বছর ধরে সীমানা জটিলতা মামলার কারণে আটকে থাকা পাঁচবিবি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৭ জুলাই। এবার প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট দেবেন পৌরবাসী।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৮ জুন, বাছাই ৩০ জুন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৭ জুলাই এবং ২৭ জুলাই ভোটগ্রহণ করা হবে। এ পর্যন্ত যেন তর সইছে না সম্ভাব্য প্রার্থী, প্রার্থীর অনুসারী ও ভোটারদের। ইতোমধ্যেই চায়ের স্টল থেকে সরকারি-বেসরকারি দপ্তরসহ সবখানে আলোচনা একটাই- কে হবেন প্রার্থী? তবে বিএনপি কিংবা জামায়াত নয়! নৌকার মাঝি কে হচ্ছেন তা নিয়েই চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। কারণ বিএনপির দুজন সম্ভাব্য প্রার্থী থাকলেও নির্বাচন নিয়ে তেমন তোড়জোড় নেই তাদের। তবে শেষ পর্যন্ত নৌকার টিকেট আনছেন কে- তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে কেন্দ্রের ঘোষণা পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত টিকেট যেই আনুক নৌকার হয়ে কাজ করার কথা বলছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারাও তাকিয়ে আছেন কেন্দ্রের দিকে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জোর লবিং করে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচবিবি পৌরসভা নির্বাচনে আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন চাচ্ছেন প্রায় এক ডজন প্রার্থী। যাদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচবিবি উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান হাবিব, জয়পুরহাট জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক মীর রেজাউল করিম, পাঁচবিবি উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহাবুব চন্দন, পাঁচবিবি পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক দেওয়ান সিরাজুল ইসলাম, রনি কমিশনার, জয়পুরহাট-১ আসনের সসদ সদস্য আলহাজ এড. সামছুল আলম দুদুর পতœী ও পাঁচবিবি পৌর আ.লীগের সদস্য মেহের নিগার শিউলী, উপজেলা মহিলা আ.লীগের সভাপতি মাছুদা বেগম ঝর্ণা, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মিন্নুর, পৌর আ.লীগের সহসভাপতি আনিছুর রহমান বাচ্চু, পৌর আ.লীগের ৯নং ওয়ার্ডের সভাপতি মানিক আকন্দ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম। অপরদিকে জয়পুরহাট জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম হোসেন ও শিখা নামে এক নারী মেয়র পদপ্রার্থী হিসেবে আলোচনায় এসেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।