ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যশুরু

আগের সংবাদ

অর্থ পাচার উৎসাহিত হবে! পাচার হওয়া টাকা অর্থনীতির মূল¯্রােতে আনতে চান অর্থমন্ত্রী > বৈষম্যের শিকার হবেন সৎ করদাতারা : বিশ্লেষকদের অভিমত

পরের সংবাদ

ছায়ানটে সঞ্চিতা রাখির গানে বর্ষা বন্দনা

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : আষাঢ় এলেই মেঘের শ্যামল মায়ায় মাটির টান টের পায় বাংলার মানুষ। সময়ের হিসাবে আষাঢ় না এলেও প্রকৃতিজুড়ে মেঘের ঘনঘটা। ঝিম ধরানো বৃষ্টি বর্ষাকে নিয়ে এসেছে আগেই। শিল্পী সঞ্চিতা রাখির গানেও তাই যেন বর্ষার আবাহন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘আহ্বান আসিল মহোৎসবে’ শীর্ষক রবীন্দ্রসংগীত ও আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন বসেছিল ছায়ানট মিলনায়তনে। ভারতের প্রখ্যাত রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অপালা বসুর সংকলন ও ভাবনায় অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সঞ্চিতা রাখি ও আবৃত্তি করেন শরীফ মজুমদার। এর আগে প্রধান অতিথি হিসেবে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী শিমুল মুস্তাফা।
শান্তি নিকেতন থেকে সংগীতে শিক্ষা জীবন শেষ করে দেশে সংগীতকেই করেছেন সঙ্গী। তার গানগুলো ছিল রবীন্দ্রনাথে সমর্পিত। সঞ্চিতা রাখি শুরু করেন ‘আবার এসেছে আষাঢ়’ দিয়ে। এরপর একে একে গেয়ে শোনান ‘মেঘের পরে মেঘ’, ‘আমার দিন ফুরালো ব্যাকুল’, ‘হৃদয়ে মন্দ্রিল ডমরু’, ‘কে দিল আবার আঘাত’, ‘আমি তখন ছিলেম মগন’, ‘আজি তোমায় আবার’ ও ‘আমারে যদি জাগালে আজি নাথ’।
এর আগে আবৃত্তিকার শরীফ মজুমদার শুরু করেন রবীন্দ্রনাথের কবিতা ‘দূত’ দিয়ে। এরপর একে একে পাঠ করেন ‘বর্ষামঙ্গল’, ‘মেঘদূত’, ‘নববর্ষা’ ও ‘আষাঢ়’ কবিতা থেকে।
শিল্পকলায় পদাতিকের ‘পাকে বিপাকে’ : শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হলো পদাতিক নাট্য সংসদের নাটক ‘পাকে বিপাকে’। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনের সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। এটি দলের ৪৩তম প্রযোজনা। মনোজ মিত্রের রচনায় নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন সঞ্জীব কুমার দে।
নিঝুম রাতে গ্রামের আলপথ ধরে কাঁপা গলায় গান গেয়ে এগিয়ে আসছে হাবলা জনার্দন। হঠাৎ তার আর্তচিৎকারে কেঁপে ওঠে বিলের চারধার। যেন বিষাক্ত সাপ দিয়েছে ছোবল। জনার্দন চিৎকার করে দৌড়ে ছুটে যায় এক লণ্ঠনের আলো বরাবর, যেখানে মুড়িঝুড়ি দিয়ে বসে আছে একজন। জনার্দন তার কাছে যতই সাহায্য চায়, ফিরে তাকায় না সে বরং ইশারায় তাকে চলে যেতে বলে। হাবলা জনার্দন ইশারা বোঝে না, সে ক্ষতের জ্বালায় গ্রামের জোয়ার্দার নবকৃষ্ণ বাবুর কুকীর্তির বয়ান ক্রমাগত পেশ করতে থাকে। এ নবকৃষ্ণের জন্যই তিন বছর লালন-পালন করা গরু কসাইয়ের কাছে তুলে দিতে বাধ্য হয়েছে সে, নয়তো এই গরু নিজের বাড়ি নিয়ে যেত নবকৃষ্ণ। ক্ষতের জ্বালা বাড়ে-কমে, বারবার সাহায্য চেয়েও না পেয়ে ক্ষেপে গিয়ে কাঁথা ধরে টান দেয় জনার্দন। ফলে উন্মোচিত হয় অবগুণ্ঠনে থাকা নবকৃষ্ণ বাবু। যে

কিনা নিজের জমিতে টহল দিচ্ছিল বর্গাদারকে ফাঁকি দিয়ে ধান লুট করবে বলে। জনার্দন নাছোড়বান্দা, সে তার মহাজনকে গালাগাল করেছে, তাই ক্ষমা না পাওয়া পর্যন্ত সে এই স্থান ছেড়ে যাবে না। আবার ওইদিকে বর্গাদার পান্তু দাস চলে এসে ধান লুট ঠেকিয়ে দেয় কিনা সেই ভয়ে নবকৃষ্ণ অস্থির। কোনো ক্রমে জনার্দনকে সরায় সে। আবার অপেক্ষা। পান্তুর ভাই ডালিম উপস্থিত হয়। এই ডালিম নবকৃষ্ণের হয়ে অনাবাদি জমিতে ফলানো ধান লুট করবে তার লোকজনসহ। নবকৃষ্ণ ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে দাঁড় করায়। অন্ধকার ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে দুর্বা, গ্রামের সবাই জানে সে হলো নবকৃষ্ণের পালিত রক্ষিতা। তবে আজ রাতে এই বিলের ধারে তার উপস্থিতি নবকৃষ্ণের বন্দুক লুট করে পান্তুকে সাহায্য করা। এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকটির কাহিনী।
এ নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, ইমরান খান, এখলাসুর প্রান্ত প্রমুখ

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়