ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যশুরু

আগের সংবাদ

অর্থ পাচার উৎসাহিত হবে! পাচার হওয়া টাকা অর্থনীতির মূল¯্রােতে আনতে চান অর্থমন্ত্রী > বৈষম্যের শিকার হবেন সৎ করদাতারা : বিশ্লেষকদের অভিমত

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামের বাজারদর : প্রতিনিয়ত জিনিসের দাম বাড়ায় স্বস্তিতে নেই মানুষ

প্রকাশিত: জুন ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : নিত্যপণ্যের অস্থির বাজারে আরেক দফা বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। অস্থিরতা বিরাজ করছে সবজি, ডিম, মসলা, ডাল, আটা ও ময়দাসহ অন্যান্য পণ্যের দামেও। মাছ-মুরগির পাশাপাশি সবজির বাজারে বেড়েছে বেশি চাহিদার আলুসহ আরো কয়েকটি সবজির দর। বাজার করতে এসে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকে প্রয়োজনীয় জিনিস কেনা কমিয়ে বাজার করে ঘরে ফিরছেন। অনেকেই বাড়তি দামের কারণে মাছ-মাংস কিনছেন না। প্রতিনিয়ত জিনিসের দাম বাড়তির কারণে স্বস্তিতে নেই সাধারণ মানুষ।
গতকাল শুক্রবার কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, গাজর, টমেটো ও বেগুনের দাম চড়া। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ পিস ৬০ টাকা, পেঁপে কেজিপ্রতি ৪০ টাকা, ধুন্দল ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, বরবটি ৪০-৬০, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কচু ৬০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
সবজির পাশাপাশি এবার দাম বাড়ানোর তালিকায় যুক্ত হলো মুখরোচক খাবার শুঁটকির। বিভিন্ন ধরনের শুঁটকির কেজিতে সপ্তাহের ব্যবধানে ৮০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে চিংড়ি, ছুরি, পোপা, ফাইস্যা ও লইট্টাসহ সব ধরনের শুঁটকির দাম বেড়েছে। তবে রুপচাঁদা শুঁটকির দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। বর্তমানে পণ্যটি কেজিতে ৫০০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। শুঁটকির দোকান ঘুরে দেখা যায়, ছুরি শুঁটকির কেজিতে ১০০ টাকা বেড়ে মানভেদে এক হাজার থেকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি লইট্টা ও পোপা শুঁটকি ৭৫০ থেকে ৮০০ এবং ১০০ টাকা বেড়ে ফাইস্যা বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। রুপচাঁদা শুঁটকির কেজিতে ৫০০ টাকা বেড়ে বর্তমানে পণ্যটি সাড়ে ৩ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে কেজিতে ২০০ টাকা বেড়ে চিংড়ি শুঁটকি বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা। রিয়াজুদ্দীন বাজারের শুঁটকি বিক্রেতা মো. সালাউদ্দীন বলেন, কক্সবাজারের রামুসহ অন্যান্য জায়গা থেকে শুঁটকির চালান কম আসছে। তাই দামটা বেড়ে গেছে। সরবরাহ বাড়লেই দাম কমে যাবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার নির্ধারণ করে দেয়া বাড়তি নতুন দরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। বর্তমানে প্রতি লিটার খোলা তেল ১৮৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন লিটারপ্রতি ২০৫, বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন ৯৯৭ ও পামতেল ১৫৮ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা মুদির দোকানে প্রতি কেজি চায়না রসুন ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, দেশি রসুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা, খোলা চিনি ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, প্যাকেটজাত চিনি ৮৫ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১০ টাকা বেড়ে ১৩০ থেকে ১৪০, আটার কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে খোলা আটা কেজিপ্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে জানা যায়, দুই কেজি ওজনের কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। রুই, মৃগেল কেজি ২৫০ টাকা, পাবদা ৩৫০-৫০০ টাকা, টাকি ৪০০ টাকা, এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ ১৩০০ থেকে ১৬০০ টাকা, তেলাপিয়া-পাঙাশ ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা, শিং ৪০০ টাকা, শোল ৮০০ টাকা, মাগুর ৬০০ টাকা, কই ২৪০-২৫০ টাকা, আইর ৬০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ টাকা, জীবিত ট্যাংরা ৭০০ টাকা। দেশি পোয়া ৪০০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকা, বাইলা ৭৫০। তবে জীবিত বড় কাতলা ৪৫০ টাকা, বড় রুই ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়