প্রধানমন্ত্রী : অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি করব না > শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাল সংসদ

আগের সংবাদ

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী : পাচারের টাকা ফেরত আনব

পরের সংবাদ

তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রতিরক্ষা খাতে

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০২২-২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের পর তৃতীয় সর্বোচ্চ বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে প্রতিরক্ষা খাতে। বাজেটে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ৪০ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
মোট ৬২টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতায় ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পাচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয় এক লাখ ৯০ হাজার ৭১৩ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ ৪১ হাজার ৭০৭ কোটি টাকা এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাচ্ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ৪০ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা।
গত ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ৩৭ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা- যা সংশোধিত বাজেটে কমে দাঁড়ায় ৩৭ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকায়।
‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ সেøাগান নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। নতুন এ বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। এতে মূল্যস্ফীতি ধরা হচ্ছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি টাকা বেশি। আগামী অর্থবছরে বাজেট বাস্তবায়নে সরকারের আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে চার লাখ ৩৬ হাজার ২৭১ কোটি টাকা।
বাজেটে অনুদান ছাড়া ঘাটতির আকার ধরা হয়েছে দুই লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। অনুদানসহ ঘাটতি থাকবে দুই লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।
প্রস্তাবিত বাজেটে সরকারের আয়ের খাতগুলো থেকে কর বাবদ তিন লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা আয় করার পরিকল্পনা করছে সরকার। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাধ্যমে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে তিন লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা।
নতুন অর্থবছরে এনবিআরকে ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে এনবিআর বহির্ভূত কর থেকে আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার কোটি। বৈদেশিক অনুদান থেকে আয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ২৭১ কোটি টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়