প্রধানমন্ত্রী : অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি করব না > শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাল সংসদ

আগের সংবাদ

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী : পাচারের টাকা ফেরত আনব

পরের সংবাদ

ঢাকা চেম্বার : মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করাই চ্যালেঞ্জ

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : দেশের বিদ্যামান পরিস্থিতিতে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোই প্রস্তাবিত বাজেটের মূল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার। গতকাল জাতীয় বাজেট ২০২২-২৩ ওপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এমনটি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, রাজস্ব ঘাটতি ও অর্থায়ন প্রভৃতি বিষয়গুলো অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। প্রাক্কলিত লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে করজাল পর্যায়ক্রমে বাড়ানো, কর কাঠমোর অটোমেশন, যৌক্তিক রাজস্ব আহরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও সরকারি ব্যয়ে সামঞ্জ্যসতা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও বাজেটে আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তাবিত বাজেটে আয়-ব্যয়ের ঘাটতি স্থানীয় ব্যাংকিং ও অন্যান্য বৈদেশিক খাত হতে অর্থ সংস্থানের নির্ভরতা তৈরি করতে পারে।
করপোরেট কর হ্রাসের ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১০ শতাংশের বেশি আইপিওর মাধ্যমে বাজারে ছাড়া এবং লিস্টেড ও নন-লিস্টেড কোম্পানির ক্ষেত্রে বার্ষিক সর্বমোট ১২ লাখ টাকা পর্যন্ত নগদ ব্যয় ও বিনিয়োগ ছাড়া সব ধরনের লেনদেন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সম্পন্ন না করলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির ২৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব পুনঃবিবেচনা করা প্রয়োজন।
এছাড়া স্থানীয় বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি আরো বেশি হারে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য পর্যায়ক্রমে বিদ্যমান করপোরেট কর হ্রাস করা প্রয়োজন বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার।
প্রস্তাবিত বাজেটে পণ্য উৎপাদনের কাঁচামাল সাপ্লাইয়ে উৎসে কর ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়, তবে উৎসে করের হার সব রপ্তানিকারকদের জন্য সমানভাবে নির্ধারণ করা উচিত। এর ফলে তৈরি পোশাক খাতের সঙ্গে সম্ভাবনাময় অন্যান্য খাতের বৈষম্য কমবে।
ঢাকা চেম্বারের মতে, বাজেটে বেসরকারি খাত হতে ২৪.৯ শতাংশ বিনিয়োগ প্রাপ্তির প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা বাস্তবায়নে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বাস্তবায়নের গতি আশাব্যঞ্জক নয়। উল্লেখ্য মে ২০২২ পর্যন্ত এডিপি বাস্তবায়নের হার ৫৮.৩৬ শতাংশ। এছাড়াও বৃহৎ প্রকল্পগুলো স্বল্প সময় ও খরচের দ্রুত বাস্তবায়ন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে, অন্যথায় প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের অন্যান্য উৎপাদনশীল খাতে বাধা তৈরির পাশাপাশি বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা আরো বাড়বে।
চলতি অর্থবছরে ৪৭.১৭ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির বিপরীতে আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৮.৮৭ বিলিয়ন ডলার। এতে মোট বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ২১.৭ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বৈচিত্র্যকরণ ও রেমিট্যান্স আহরণের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বাজেটে বিশেষ নির্দেশনা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করে প্রতিষ্ঠানটি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়