প্রধানমন্ত্রী : অন্যায়ের কাছে মাথা নত করিনি করব না > শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাল সংসদ

আগের সংবাদ

বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী : পাচারের টাকা ফেরত আনব

পরের সংবাদ

ড. সালেহউদ্দিন : সাধারণ মানুষের উন্নয়ন হবে না

প্রকাশিত: জুন ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জুন ১০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : প্রস্তাবিত বাজেট গতানুগতিক- নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, পুরনো চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার জন্য তেমন স্পেশাল কিছু নেই। তাই বাজেট বাস্তবায়ন করাটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, এবারের বাজেটে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে। যেমন- বাণিজ্য ঘাটতি, মূল্যস্ফিতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে হ্রাস, টাকার অবমূল্যায়ন, কর্মসংস্থানের অভাব, আয়বৈষম্য। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুস্পষ্ট নির্দেশনা বাজেটে নেই। এ অর্থনীতিবিদ বলেন, এসএমই খাতে ঋণ বা প্রণোদনা বাড়াবে, এ বিষয়ে কিছু বলেননি। পোশাক খাতসহ বড় বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে যে প্রণোদনা দেয়া হবে সেগুলো উহ্য রেখেছে। মানুষ শুনতে চায়, যারা বঞ্চিত তাদের জন্য বাজেটে কী বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে অর্থনীতির ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন। কিন্তু অভিঘাত পেরিয়ে যেতে যে নির্ধারিত কিছু বিষয় থাকবে তা এবারের বাজেটে অনুপস্থিত। বিশেষ করে অগ্রাধিকারগুলো স্পষ্ট নয়। দ্বিতীয়ত, অর্থমন্ত্রী যে ধারাবাহিকতার কথা বলেছেন, তা দিয়ে তিনি আসলে কী বোঝাতে চেয়েছেন?
সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বাজেটে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন হবে না, হয়তো প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেতে পারে। কিন্তু আয়বৈষম্য, সম্পদের বৈষম্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্য খাতে সমস্যা- এগুলো কীভাবে যাবে? এ বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা নেই। কোন কোন খাতে বেশি ব্যয় বাড়িয়েছে এ বিষয়গুলো বাজেটে উঠে এসেছে। বাজেটের আকার বাড়লে এসব বরাদ্দ বাড়বে- এটাই স্বাভাবিক।
সাবেক এ গভর্নর বলেন, বাজেট বর্ণনায় বিভিন্ন কিছু হয়েছে বলে আত্মতৃপ্তি দেখানো হয়েছে। কিন্তু যেগুলো হয়েছে, তা ভবিষ্যতে কীভাবে মেইনটেন্যান্স করবে, সাধারণ মানুষের কী উপকারে আসবে- এ বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। পল্লী অঞ্চলে উন্নয়ন, কালভার্ট নির্মাণের কথা বলা হয়েছে- এটা ভালো উদ্যোগ। কীভাবে সমসাময়িক সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবে এবং কীভাবে জীবনযাত্রার মান আরেকটু উন্নয়ন ঘটানো যাবে- মানুষ চাওয়া সেটাই। দেশের প্রবৃদ্ধি হবে, রিজার্ভ বাড়বে- এগুলো অর্থনীতির সূচক মাত্র।
বাজেট বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আর্থিক ব্যবস্থাপনার বিষয়গুলোতে এখনো দুর্বলতা রয়েছে। সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। এখানে সরকারি কর্মকর্তাদের দক্ষতা, সক্ষমতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সুশাসনের অভাবে যদি ব্যাংক ব্যবস্থাপনা ঠিক না হয় তাহলে বাজেট বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়বে। পাঁচ বছরের প্রকল্প ১০ বছর, ১০ বছরেরটা ১৫ বছর বেড়ে গেলে সেখানে ব্যয় বেড়ে যায়, অর্থের অপচয় হয়। এগুলো ঠিক করতে হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়